আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ৫
চারটি নদী ড্রেজিংয়ে ৪৪শ কোটি টাকার প্রকল্প
সাইদ রিপন : যোগযোগ ব্যবস্থায় নদীপথের গুরুত্ব বেশি হলেও ড্রেজিংয়ের অভাবে নাব্যতা সংকটে পড়ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলো। তাই ‘পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক একটি প্রকল্প নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রায় ৪৪শ কোটি টাকায় ২২৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১০০ মিটার প্রস্থের ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ৩ মিটার গভীর করে ক্লাস-২ নেভিগেশনাল রুটে উন্নীত করা হবে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী বাহাদুরাবাদের দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র থেকে জামালপুর এবং ময়মনসিংহ জেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরব বাজারে মেঘনা নদীতে মিশেছে। প্রায় ২৮৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ২০০ মিটার প্রস্থের এ নদীটি দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, জামালপুর সদর, ময়মনসিংহ সদর, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, গফরগাঁও, পাকুন্দিয়া, কাটিয়াদি, কুলিয়ারচর, এবং ভৈরব উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বর্ষাকালে এ নদীতে কার্গো ও বড় ট্রলার চলাচল করলেও শুষ্ক মৌসুমে পানির গভীরতা খুবই কম হওয়ায় এ নদী দিয়ে নৌযান চলাচল করতে পারে না। পর্যাপ্ত পানির অভাবে নদী এলাকায় কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে, মৎস্য উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে এবং পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী খননের ফলে শুধু এ নদীরই নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে না বরং শুষ্ক মৌসুমে ঝিনাই, বংশী, বানর, শীতলক্ষ্যা নদীতে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সারাবছর এ নৌপথ দিয়ে দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সুবীর কিশোর চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পটির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নৌপথের গুরুত্বপূর্ণ ৪টি নদীর নাব্যতা ফেরানো হবে। সারাবছর নির্বিঘেœ ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতেই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সভায় অনুমোদনের পর সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে জুন ২০২৪ সালে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সম্পাদনা : মাহবুব আলম