আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ১
ঘোড়াশাল সার কারখানার আধুনিকায়ন হচ্ছে
সাইদ রিপন: গ্যাস সরবরাহ না থাকায় সরকারি সার কারখানাগুলো বছরের সাত থেকে আট মাস বন্ধ রাখতে হয়। ফলে দেশে পর্যাপ্ত সার উৎপাদন না হওয়ায় কৃষকের চাহিদাপূরণে আমদানি করতে হয়। এতে করে বছরে গড়ে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। তাই আমদানিনির্ভরতা কমাতে এবার ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বছরে ৯ লাখ ২৪ হাজার টন ইউরিয়া ও ৫ লাখ টনের বেশি অ্যামোনিয়া উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রকল্পটি আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। একনেকে অনুমোদনের পর অক্টোবর ২০১৮ থেকে জুন ২০২২ সাল মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
জানা গেছে, নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও পলাশ সার কারখানা পুরোনো হয়ে গেছে। ১৯৭০ সালে ঘোড়াশালে স্থাপিত ইউরিয়া সার কারখানার সক্ষমতা ছিল প্রায় ৫ লাখ টন। বর্তমানে এ কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা অর্ধেকে নেমে এসেছে। অন্যদিকে ১৯৮৫ সালে স্থাপিত পলাশ ইউরিয়া কারখানার উৎপাদন এখন ৮০ হাজার টনের নিচে। এজন্য এ দুই কারখানার আধুনিকায়নের জন্য ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৪৬০ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হবে ১ হাজার ৮৪৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা এবং বিডার্স ফাইন্যান্সিং দিবে ৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরী (জিইউএফএফএল) এবং পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরীতে দৈনিক ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন সার উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এই কারখানা হবে আধুনিক, জ্বালানীসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। কৃষি উৎপাদনে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুলভ মূল্যে কৃষকদের মাঝে সার সরবরাহ করা সম্ভব হবে।’ সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব