আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ১
সাড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকার ২০ প্রকল্প অনুমোদন
সাইদ রিপন : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরিসহ মোট ২০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ৩২ হাজার ৫২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেয়া হবে ১৫ হাজার ৪৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে আসবে ১১ হাজার ৬৫৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং বিদেশি সহায়তা থেকে আসবে ৫ হাজার ৩৭৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একটি ক্যাম্পাস স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়নের একটি প্রকল্পও একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হবে ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় অত্যাধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধন ও প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য ক্যাম্পাসে সবুজ গাছপালা ও লেক থাকবে। পুরো ক্যাম্পাসটি থাকবে দুটি অংশে বিভক্ত, মাঝে থাকবে লেক, যা ৫টি ব্রিজ দিয়ে সংযুক্ত করা হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রকল্পটির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পড়ালেখার সুবিধার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসগুলোতে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। তাছাড়া এখন থেকে পুরনো সিটি করপোরেশনগুলোতে আর সরকারি অর্থে প্রকল্প দেওয়া হবে না। তাদের স্বাবলম্বী হতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন সংক্রান্ত প্রকল্পটি অনুমাদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পুরাতন যেসব রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট রয়েছে, সেগুলো যেন ভাঙা অবস্থায় না থাকে। আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। সড়ক উন্নয়নের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার সময় তিনি এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় ১৯৭০ সালে দৈনিক ১৪০০ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতার ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা এবং একই স্থানে ১৯৮৫ সালে দৈনিক ৩০৫ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতার পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপন করা হয়। কারখানায় দুটি দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনে থাকায় যন্ত্রপাতিগুলো পুরাতন ও জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। যার ফলে কারখানাগুলোর উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠান দুটি অলাভজনক হয়ে পড়েছে। এ কারণেই ওই একই স্থানে নতুন একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৪৬০ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এক প্রশ্নের জবাবেবে মন্ত্রী বলেন, এ কারখানাটি চালাতে গ্যাসের সংকট হবে না। সম্পাদনা : রেআ