তফসিল ঘোষণার আগে প্রকল্প অনুমোদনের হিড়িক
সাইদ রিপন : আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ মাসের শেষ সপ্তাহে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পরই হবে তফসিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের শেষ সময়ে এসে ঠিক তফসিল ঘোষণার আগেই প্রকল্প অনুমোদন এবং সংশোধনের হিড়িক পড়েছে। তার মধ্যে বেশির ভাগ প্রকল্পই ভোটাদের খুশি করার নির্বাচনী প্রকল্প। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো তেমন যাচাই-বাছাই না করেই প্রকল্প পাঠাচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনে। আর পরিকল্পনা কমিশনও অতিরিক্ত চাপে তেমন বেশি যাচাই না করেই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পাঠাচ্ছে। এতে করে প্রকল্পের মান রক্ষা ও ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া অনেক প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে, যা কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার একনেক সভায় সাড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকায় ২০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ প্রকল্পই নির্বাচনী প্রকল্প। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই এ প্রকল্পগুলো নেয়া হচ্ছে বলেও মনে করছে সরকার দলীও মন্ত্রীরা। কিন্তু একদিন যেতে না যেতেই আবার একনেক সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ। এ সভায় ১৭টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনের আগে সরকারের শেষ সময়ে প্রকল্প পাসের হিড়িক পরে যায়। নির্বাচন সামনে থাকায় সবাই চাচ্ছেন তাদের প্রকল্প অনুমোদন করাতে। স্বাভাবিকভাবেই সংসদ সদস্যরা তাদের এলাকার প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে ব্যস্ত হয়ে উঠেন। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় নিয়মনীতিও মানা হয় না।
সংবিধান অনুযায়ী এই সরকারের মেয়াদে তথা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। আর সে অনুযায়ী আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচনী কমিশন। মূলত তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন সরকার নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাই তখন আর কোনো প্রকল্প পাস হবে না। এদিকে নির্বাচনের আগে নিজ নিজ এলাকায় প্রকল্প পাস করাতে পারলে ভোটারদের মন জয়ে সহজ হবে জনপ্রতিনিধিদের।