আজ সকালে ‘তিতলি’র আঘাত আনার আশংকা
আহমেদ ইসমাম: ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ১২০ কি.মি গতিতে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আঘাত আনাতে পারে। তবে আঘাত আনার পর এ গতি কিছুটা কমে ৭০ কি.মি বেগে স্থল ভাগে প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঝড়টির ফলে বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রামে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এই ঝড়টির প্রভাবে গতকাল সকাল থেকেই ঢাকা, সিলেট ও বরিশালে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় দেশের অভ্যন্তরীণ সকল নৌ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকবে। তাই নিরাপত্তার জন্য বিকেল ৩টা থেকে সারাদেশে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ঘোষণা বলবৎ থাকবে। ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির এই প্রতিবেদককে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সদরঘাটসহ সারাদেশে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের খবরে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর সেটি ভারতের ওড়িশ্যা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে।
এদিকে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে প্রবেশ না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেই সাথে দেশের সব উপকুলীয় অঞ্চলসমূহের বাসিন্দাদের সতর্ক ও নিরাপদ আশ্রয়ের কাছাকাছি থাকার জন্য বলেছেন আবহাওয়া অধিদফতর।