সাইবার হুমকি শনাক্তে সহায়তা করবে মাইক্রোসফট : মোস্তাফা জব্বার
ফাহিম ফয়সাল : ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপকল্পে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং সাইবার হুমকি শনাক্ত করা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে মাইক্রোসফট আমাদের সহায়তা করবে।
গতকাল বুধবার ‘গভর্নমেন্ট সিকিউরিটি প্রোগ্রাম’ (জিএসপি) নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাইক্রোসফটের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি ।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ভার্চুয়াল স্পেসে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণে কাজ করে যাচ্ছে। ‘জিএসপি’ নিয়ে সরকারকে তথ্য প্রদান করবে মাইক্রোসফট। তিনি আরও বলেন, সব বিষয়ে নিরাপত্তা বিধান সত্যিকার অর্থে চ্যালেঞ্জিং। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছি। এর ভাল দিক হচ্ছে একটি ডিজিটাল এজেন্সি স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তৈরি হবে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের জাতীয় তথ্য কেন্দ্রের পরিচালক তারিক এম বরকতুল্লাহ এবং মাইক্রোসফটের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া উদীয়মান বাজারের (এসইএএনএম) প্রেসিডেন্ট সুক হুন চিয়াহ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান এবং লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবিরসহ উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এ চুক্তির অধীনে মাইক্রোসফটের ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিট (ডিসিইউ) ‘বাংলাদেশ সাইবার থ্রেট ইন্টেলিজেন্স প্রোগ্রাম’ (সিটিআইপি) নিয়ে জাতীয় তথ্য কেন্দ্র এবং মন্ত্রণালয়ের সিআইআরটি দলকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবে।
মাইক্রোসফটের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ম্যালওয়্যার ঝুঁকি ও এ বিষয়ে দুর্বলতা সম্পর্কে জানা যাবে পাশাপাশি, প্রতিবেদনের তথ্য দেশের আইটি অবকাঠামোর ঝুঁকি ও হুমকি শনাক্তে এবং এসব হুমকি হ্রাসের মাধ্যমে সুরক্ষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করবে।
সুক হুন চিয়াহ বলেন, ‘প্রত্যেকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে মাইক্রোসফট। নিরাপদ, সুরক্ষিত ও বিশ্বাসযোগ্য কম্পিউটিং অভিজ্ঞতায় আমাদের গ্রাহকদের সহায়তা করতে আমরা প্রতিবছর সাইবার নিরাপত্তায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয় করছি। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানগুলোর সফল সাইবার নিরাপত্তা অনুশীলনে মানুষ, প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তি বিবেচনা করতে হবে এবং পাশাপাশি ভাবতে হবে, কিভাবে এসব বিষয় একসাথে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক নিরাপত্তায় অবদান রাখতে পারে।’
সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘এ চুক্তি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে নিরাপত্তার উদ্বেগগুলো চিহ্নিতকরণে এবং বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে আসন্ন ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। পর্যায়ক্রমে এটা জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ সুরক্ষিত করতে সহায়তা করবে যেখানে প্রতিটি মানুষ ও সংস্থা সাইবার হুমকি থেকে মুক্ত থাকবে।’ সম্পাদনা : শরিফ উদ্দিন আহমেদ