তিতলিতে বিধ্বস্ত টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের অর্ধশত বসতঘর
কক্সবাজার প্রতিনিধি : টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে অর্ধশত বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও উত্তাল সাগরের টেউয়ের আঘাতে এসব বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে জোয়ারের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুন উঁচুতে আছড়ে পড়ে বঙ্গোপসাগরের ঢেউ। এতে তাদের বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়। শাহপরীর দ্বীপের মাঝের পাড়া, দক্ষিণপাড়া ও জাইল্যাপাড়া এলাকার প্রায় অর্ধশত বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে খোলা আকাশের রয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। অরক্ষিত বেড়িবাঁধের কারণে জোয়ারের পানিও ঢুকে প্লাবিত হয়েছে অনেক গ্রাম। দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান। তিনি জানান, খবর পেয়ে শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তারা। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ২০ কেজি করে চালসহ বিভিন্ন সামগ্রীও সঙ্গে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের প্রাথমিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান ইউএনও।
এর আগে সকালে ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’। তিতলির পরোক্ষ প্রভাবে কক্সবাজারে হালকা বাতাস ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাছন্ন রয়েছে। সাগর উত্তাল। বুধবার (১০ আগস্ট) থেকেই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ডক্টর মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারে গত ২৪ ঘন্টায় ২৮ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বাতাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।