ক্রিকেট ছেড়ে চাকরি নিয়েছিলেন রাব্বী !
স্পোর্টস ডেস্ক: ১৪ পেরিয়ে দেড় দশকে পা দিয়েছেন ফজলে মাহামুদ (ফজলে রাববী) এর ক্রিকেট ক্যারিয়ার। ক্যারিয়ারটা বেশ লম্বা। সেই ২০০৪ সালে বরিশাল বিভাগের হয়ে অভিষেক প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে। সে বছরই লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক, সেটাও বরিশালের হয়ে। ক্যারিয়ারের শুরুতে দুই ফরমেটের ক্রিকেটে অভিষেকে রানহীন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৬৮ ম্যাচ আর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৮০ ম্যাচ পেরিয়ে পেয়েছেন জাতীয় দলে ডাক! ৩০ পেরিয়ে ৩১ বছর বয়সে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে নুতন একটা রেকর্ডও করে ফেলেছেন ফজলে রাব্বী।
ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরমেন্সের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে কেটেছে। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নটা একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছিলেন। লেখা-পড়া শেষ করে জীবিকা নির্বাহে একটা চাকরিও জুটিয়ে ফেলেছিলেন। মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠান সিটিসেল এর হেড অফিস মহাখালীতে অফিসও করেছেন। ছেড়ে দিয়েছিলেন ক্রিকেট। এমনটাই জানিয়েছেন ফজলে রাব্বী- ‘আসলে খেলতে খেলতে হয় না এমন, আমি সামনেও যাচ্ছি না। আমার পড়াশোনাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। সময়টা ২০০৮ সালের দিকে। আমি ওই সময়ে চিন্তা করেছি, অন্য কোন পেশায় যায় কিনা। সেই সময় চিন্তা করেছিলাম খেলা ছাড়ার। বলতে পারেন খেলার সুবাদেই চাকরিটা পেয়েছিলাম। সিটিসেল এর মহাখালীর অফিসে বসতাম। ওই বছর আমি আমার বন্ধুদের বলেছিলাম, আমি খেলব না। ’ কিন্তু ক্রিকেট ছেড়ে চাকরি, তাতে মন বসাতে পারেননি। শরীরের ধমনীতে যার প্রবাহিত হচ্ছে ক্রিকেট, তিনি ক্রিকেট ছাড়া থাকবেন কি করে ? তাই ফিরেছেন ক্রিকেটে-‘ কিছুদিন চাকরি করার পর আমি আমার মনকে সায় দিতে পারলাম না। আমার মনে হল, আমি খেলা ছাড়া থাকতে পারব না। তারপর আবার চলে আসলাম, আবার খেলায় মন দিলাম। এরপর একদম খোলা মনে যখন খেলতে গিয়েছিলাম, তখন আমার মনে কোন চাপ ছিল না।’
চাপহীন খেলে ধারাবাহিক পারফর্ম করায় মানসিকতায় এসেছে পরিবর্তন। সেই দর্শনেই এতোদূর এগিয়ে এসেছেন নির্বাচকদের নজরে। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে নাম লিখিয়েছেন-‘ চাপহীন খেলায় পারফর্ম ভাল হয়েছে। এরপর থেকেই আসলে পরিবর্তনটা শুরু, মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। বুঝেছি চাপ ছাড়া খেললে ভাল খেলত পারব। এখন ওইরকম চিন্তাই করি না খেলা নিয়ে। আমি সেটাই করার চেষ্টা করছি।’ নিউজজি