‘নির্বাচনকালীন অর্থনীতির ইতিবাচক নেতিবাচক দুটি দিকই আছে’
তানজিনা তানিন : বিশ্বব্যিাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, নির্বাচনকালীন অর্থনীতির ইতিবাচক-নেতিবাচক দুটি দিকই আছে। এতে একদিকে মূল্যস্ফীতি বাড়ে, অপরদিকে তৃণমূলের সাধারণ মানুষের জীবনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে কিছু অর্থ যোগানের ফলে। তবে এটা সাময়িক। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নির্বাচনি নানা তৎপরতার মধ্যে অন্যতম একটি হলো নানা খাতে সম্পদ ও অর্থ বণ্টন। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এই বণ্টন চোখে পড়ে। যা জাতীয় অর্থনীতিতে সাময়িক কিছু সমস্যার সৃষ্টি করে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনি প্রচারণা ও জনসমর্থনের লক্ষ্যে দলীয় এবং ব্যক্তিগতভাবে অর্থ ব্যয় হয়। তৃণমূল মানুষের সমর্থন নিশ্চিত করতে তাদের মধ্যে নগদ অর্থ ছাড়াও শাড়ি, লুঙ্গি, শীতকালীন বস্ত্র, খাদ্য দ্রব্য ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। ফলে কিছু সময়ের জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে ভোটার বেশি। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদের কাছে কিছু টাকা পৌছে। তাছাড়া কিছু মানুষের কর্মসংস্থানেরও সাময়িক ব্যবস্থা হয়। উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধিতে যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।