ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হচ্ছে অলির এলডিপিসহ ৭ দল
শাহানুজ্জামান টিটু : ২০ দলীয় জোটের অধিংকাশ দল যুক্ত হচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে। তবে এতে আসবে না জামায়াতে ইসলামী। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যফ্রন্টে একদিনে যোগ দেবে, না ভিন্ন ভিন্ন দিনে যোগ হবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। আন্দোলন ও নির্বাচনী লড়াই জোরদার করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান ঐক্যফ্রন্টের এক সিনিয়র নেতা। অনেকে ধারণা করেছিলেন জামায়াতে ইসলাম বাদে ২০দলীয় জোটের অন্যান্য সকল দল ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেবে। কিন্তু না শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলগুলো এতে যুক্ত হবে। নিবন্ধিত এই ৭ দল হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ ন্যাপ, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামা-ই ইসলাম ও জাতীয় পার্টি (জাফর)। উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চে গণফোরামের সমাবেশে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো।
ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শুধু আন্দোলনের জন্য নয়, নির্বাচনের জন্যই বিএনপিকে নিয়ে এই ফ্রন্ট হয়েছে। কার্যত ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের পাল্টা জোট হিসেবে এই ফ্রন্ট গঠিত হয়েছে। একারণেই আমরা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।
বিএনপির এক সিনিয়র নেতা জানান, এটা স্বৈরাচার ও রাজাকার মুক্ত ফ্রন্ট। এখানে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ফ্রন্টে যোগ দেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে। তবে এরশাদের জাতীয় পার্টি যদি এই ফ্রন্টে আসতে চায় তাহলে তার এখানে প্রবেশের সুযোগ নেই। একারণেই যে আমরা স্বৈরাচার ও রাজাকার মুক্ত এই ফ্রন্ট করেছি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সূত্র জানায়, ঐক্যফ্রন্ট সম্প্রসারণের পাশাপাশি দু’একদিনের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা বসে কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিভাগীয় ও জেলা শহরে জনসভাসহ জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি দেবে। তবে ইতিমধ্যে একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি হলো ঢাকার মিরপুরে জনসভা। জনসভার জন্য পুলিশের অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের এক শীষ নেতা জানান, সব বিভাগীয় ও জেলা শহরে জনসভার পর ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি নেওয়া হবে। ওই জনসভাকে জনসমুদ্রের পরিণত করা হবে। এই সময়ের মধ্যে যুক্তফ্রন্টের ৭ দফা দাবি না মেনে নিলে সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করা হবে। সম্পাদনা : মাহবুব আলম