আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ১
সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
সোহেল রহমান : বাংলাদেশ-ভারত নৌ ট্রানজিট কার্যকরে বাংলাদেশ অংশের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মালয়েশিয়া সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় রাজধানীর উত্তরায় ১০৪টি ভবন নির্মাণসহ ১৪টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’। এতে মোট ব্যয় হবে ৭ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। এছাড়া বৈঠকে রাজউক কর্তৃক উত্তরার ১৮ নং সেক্টরে বাস্তবায়নাধীন মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য এপার্টমেন্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের দুটি লটের কাজের ব্যয় হ্রাসের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দুটি লটে ব্যয় কমেছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসের আমু বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, ভারত-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন (৮০%-২০%) প্রটোকল নৌ-রুটের আওতায় ‘ডেভেলপমেন্ট অব ফেয়ারওয়ে ফ্রম সিরাজগঞ্জ-দৈখাও স্ট্রিচ অব ইন্দো-বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড প্রটোকল রুট ফর সেভেন ইয়ার্স’ শীর্ষক কাজের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যৌথভাবে এ কাজটি পেয়েছে ‘ধরতি-বঙ্গ’। এতে মোট ব্যয় হবে ২২৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
তিনি জানান, রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রাজধানীর ‘উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্প’-এর ‘বি’ ও ‘সি’ ব্লকে একটি বেসমেন্টসহ ১৬তলা বিশিষ্ট ১০৪টি ভবন নির্মাণের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি ভবনের ৮ হাজার ৭৩৬টি ফ্ল্যাটের আয়তন হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ বর্গফুট এবং অবশিষ্ট ৫২টি ভবনের ৪ হাজার ৩৬৮টি ফ্ল্যাটের আয়তন হচ্ছে ৮৫০ কর্গফুট। জি-টু-জি-এর মাধ্যমে মালয়েশিয়া সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ‘ডিজাইন-বিল্ড-ট্রান্সফার’ পদ্ধতিতে এই দুই ক্যাটাগরির ফ্ল্যাট নির্মিত হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৫ হাজার ৯৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ কাজটি পেয়েছে মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান ‘রেডটেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’। অতিরিক্ত সচিব জানান, বৈঠকে ‘সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ কাজে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে যৌথভাবে ‘মেসার্স হাল্লা ও মীর আখতার লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে ৩৮৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
তিনি জানান, বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৩টি বাফার সার গুদাম তৈরির একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ‘সেনা কল্যাণ সংস্থা’। এতে ব্যয় হবে ৪২১ কোটি টাকা।
এছাড়া বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দেশের ৮টি বিভাগের জন্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ক্রয়ের দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জন্য চারটি লটের (প্যাকেজ নং ডিএনই-ই-জি-১৯; লট- ১, ২, ৪ ও ৫) আওতায় ৬৯ হাজার ৬৫৬টি ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমার ক্রয় করা হবে। প্রতিটি লটে ১৭ হাজার ৪১৪টি করে তিনটি প্রতিষ্ঠান এগুলো সরবরাহ করবে। এর মধ্যে লট-১ ও ২-এর কাজটি পেয়েছে ‘ম্যানস ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড’। লট-৩ ও লট-৪-এর কাজটি পেয়েছে যথাক্রমে ‘প্রিন্স ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড’ ও ‘কনফিডেন্স ইলেকট্রিক লিমিটেড’। চারটি লটে মোট ব্যয় হবে ৩৯৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জন্য (প্যাকেজ নং ডিএনই-ডব্লিউ-জি-১২; লট-৩)-এর আওতায় ২০ হাজার ৩৮৬ কিলোমিটার কন্ডাক্টর, ইন্স্যুলেটেড, ৬০০ ভোল্ট ও ১১ কেভি ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি সরবরাহ করবে ‘বি অ্যান্ড টি ক্যাবলস লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে ৯২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
সোহেল রহমান : বাংলাদেশ-ভারত নৌ ট্রানজিট কার্যকরে বাংলাদেশ অংশের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মালয়েশিয়া সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় রাজধানীর উত্তরায় ১০৪টি ভবন নির্মাণসহ ১৪টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’। এতে মোট ব্যয় হবে ৭ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। এছাড়া বৈঠকে রাজউক কর্তৃক উত্তরার ১৮ নং সেক্টরে বাস্তবায়নাধীন মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য এপার্টমেন্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের দুটি লটের কাজের ব্যয় হ্রাসের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দুটি লটে ব্যয় কমেছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসের আমু বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, ভারত-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন (৮০%-২০%) প্রটোকল নৌ-রুটের আওতায় ‘ডেভেলপমেন্ট অব ফেয়ারওয়ে ফ্রম সিরাজগঞ্জ-দৈখাও স্ট্রিচ অব ইন্দো-বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড প্রটোকল রুট ফর সেভেন ইয়ার্স’ শীর্ষক কাজের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যৌথভাবে এ কাজটি পেয়েছে ‘ধরতি-বঙ্গ’। এতে মোট ব্যয় হবে ২২৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
তিনি জানান, রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রাজধানীর ‘উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্প’-এর ‘বি’ ও ‘সি’ ব্লকে একটি বেসমেন্টসহ ১৬তলা বিশিষ্ট ১০৪টি ভবন নির্মাণের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি ভবনের ৮ হাজার ৭৩৬টি ফ্ল্যাটের আয়তন হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ বর্গফুট এবং অবশিষ্ট ৫২টি ভবনের ৪ হাজার ৩৬৮টি ফ্ল্যাটের আয়তন হচ্ছে ৮৫০ কর্গফুট। জি-টু-জি-এর মাধ্যমে মালয়েশিয়া সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ‘ডিজাইন-বিল্ড-ট্রান্সফার’ পদ্ধতিতে এই দুই ক্যাটাগরির ফ্ল্যাট নির্মিত হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৫ হাজার ৯৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ কাজটি পেয়েছে মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান ‘রেডটেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’। অতিরিক্ত সচিব জানান, বৈঠকে ‘সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ কাজে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে যৌথভাবে ‘মেসার্স হাল্লা ও মীর আখতার লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে ৩৮৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
তিনি জানান, বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৩টি বাফার সার গুদাম তৈরির একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ‘সেনা কল্যাণ সংস্থা’। এতে ব্যয় হবে ৪২১ কোটি টাকা।
এছাড়া বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দেশের ৮টি বিভাগের জন্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ক্রয়ের দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জন্য চারটি লটের (প্যাকেজ নং ডিএনই-ই-জি-১৯; লট- ১, ২, ৪ ও ৫) আওতায় ৬৯ হাজার ৬৫৬টি ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমার ক্রয় করা হবে। প্রতিটি লটে ১৭ হাজার ৪১৪টি করে তিনটি প্রতিষ্ঠান এগুলো সরবরাহ করবে। এর মধ্যে লট-১ ও ২-এর কাজটি পেয়েছে ‘ম্যানস ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড’। লট-৩ ও লট-৪-এর কাজটি পেয়েছে যথাক্রমে ‘প্রিন্স ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড’ ও ‘কনফিডেন্স ইলেকট্রিক লিমিটেড’। চারটি লটে মোট ব্যয় হবে ৩৯৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জন্য (প্যাকেজ নং ডিএনই-ডব্লিউ-জি-১২; লট-৩)-এর আওতায় ২০ হাজার ৩৮৬ কিলোমিটার কন্ডাক্টর, ইন্স্যুলেটেড, ৬০০ ভোল্ট ও ১১ কেভি ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি সরবরাহ করবে ‘বি অ্যান্ড টি ক্যাবলস লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে ৯২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।