পরমাণু যুদ্ধ হলে রুশরা শহীদ হয়ে স্বর্গে যাবে : পুতিন
নূর মাজিদ : পরমাণু যুদ্ধে নিহত হলে রুশ নাগরিকেরা সকলেই স্বর্গে যাবেন, বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ¬াদিমির পুতিন। গতকাল শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ¬াদিমির পুতিন কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী পর্যটন শহর সোচিতে ভালদাই ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে অংশ এমন মন্তব্য করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, কোন ভিনদেশী পরাশক্তি রাশিয়াকে আক্রমণ করলে তাদের চড়ামূল্য দিতে হবে। এমন আক্রমণের পর রাশিয়ার পাল্টা আঘাতে পৃথিবী থেকে প্রাণের শেষ চিহ্নও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তবে আগ্রাসী শত্রুর প্রথম হামলায় নিহত রুশ নাগরিকেরা শহীদের মর্যাদা নিয়ে স্বর্গে যাবেন, এই নিয়ে আমাদের পরিতাপ করার কোন বিষয় নেই। অন্যদিকে, রাশিয়ার আক্রমণে যে সকল শত্রু মারা যাবে তারা অন্যায়ভাবে আগ্রাসী হামলা পরিচালনার কারণে স্বর্গে স্থান পাবেনা।
পুতিন বলেন, সোভিয়েত আমল থেকেই আমাদের পরমাণু অস্ত্রভা-ার শত্রুর প্রথম হামলা থেকে যেন সুরক্ষিত থাকে সেই লক্ষ্য মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে। তাই এমন হামলার কড়া জবাব দেবার পর্যাপ্ত সক্ষমতা রাশিয়ার রয়েছে। এছাড়াও, রাশিয়ার বর্তমান পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার নীতি একটি প্রচলিত যুদ্ধে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ফলে, রাশিয়ার বিরদ্ধে পরিচালিত যে কোন প্রচলিত আগ্রাসী যুদ্ধের জবাবও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে দেয়া যাবে বলেই পুতিন জানিয়েছেন। ১৯৯৩ সালে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাক্ষরিত প্রথম পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অঙ্গীকার থেকে সরে আসে রাশিয়া। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও সম্প্রতি পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নীতি পর্যালোচনা করে জানিয়েছে, তাদের কোন মিত্র দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসী হামলা পরিচালনা কড়া হলে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। চলতি বছরের মার্চে পুতিন জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া স্টেট অব দ্য নেশন ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম এমন বেশকিছু কৌশলগত অস্ত্রের নকশা প্রদর্শন করেন। এরপরেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নীতি নিয়ে পুনরায় পর্যালোচনা শুরু করে। আরটি