গ্যাস সংকটে রাজধানীসহ সারা দেশে বেড়েছে এলপিজির চাহিদা
স্বপ্না চক্রবর্তী : সাগরের নিচে পাইপলাইনের সমস্যার কারণে চট্টগ্রামে এলএনজি সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে বন্দর নগরীর পাশাপাশি দেশের অন্যান্য জায়গায়ও গ্যাস সংকট বাড়ছে। ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তীব্রভাবে বেড়েছে এলপিজির চাহিদা।
জানা যায় ৩ নভেম্বর রাতে সাগরের নিচে পাইপলাইনের সমস্যার কারণে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে চট্টগ্রামে গ্যাসের ঘাটতি তৈরি হয়। সেই ঘাটতি মেটাতে জাতীয় গ্রিডেও দেখা গেছে গ্যাসের সংকট। ফলে মিটমিট করে করে জ্বলছে বাসা-বাড়ির চুলা। ব্যাহত হচ্ছে শিল্প, বিদ্যুৎ ও সারখানার কাজও। এই চাহিদা মেটাতে এখন একমাত্র ভরসা এলপিজি। তাই রাজধানীসহ দেশে এই কদিনে দ্বিগুণ হারে বেড়েছে এলপিজি গ্যাসের চাহিদা।
জানা যায়, বর্তমানে দেশে এলপিজির চাহিদা ৩০ লাখ মেট্রিক টন হলেও গত কয়দিনে এ চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন হয়েছে। কিন্তু সরবরাহ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৭ লাখ মেট্রিক টন থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বিশেষ করে আবাসিক খাতে চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত সরবরাহ দিতে না পারায় হিমশিম খাচ্ছে খুচরা বিক্রেতারা। সুযোগে কেউ কেউ দ্বিগুন দামও আদায় করছে।
রাজধানীর মগবাজারের এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতা আরমান আহমেদ বলেন, একমাস আগেও যেখানে দিনে ২০ সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করতাম সেখানে এক মাসের ব্যবধানে দিনে প্রায় ৩০টি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। তা অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু অনেক সময় চাহিদা থাকলেও সরবরাহ না থাকায় বিক্রি করতে পারছি না। দাম একটু বেড়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
রাজধানীর মহাখালী, মগবাজার, মৌচাক, খিলাগাঁও, রামপুরা, কলাবাগান, ইস্কাটন, ফার্মগেইট, মিরপুর পুরান ঢাকার শাখারী বাজার, মানিকনগর, লক্ষ্মীবাজার, ঠাঁটারিবাজার, বেঁচারাম দেউরি, বংশাল, ইসলামপুরসহ অনেক জায়গায় মিটমিট করে জ¦লছে গ্যাসের চুলা। বাধ্য হয়ে বাসা-বাড়িতে এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করছেন তারা। সম্পাদনা : শাহীন চৌধুরী, রেজাউল আহসান