করমেলায় ৮ বছরে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে
আবু বকর : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়করমেলায় গত আট বছরে ১০ হাজার ৫৩২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই সময়ে মেলায় ৪৪ লাখ ৯৮ হাজার ১২৫ জন নাগরিক (ব্যবসায়ী, সরকারি ও বেসরকারি) সেবা পেয়েছেন। তাদের ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণে সহায়তা, রিটার্ন গ্রহণ, কর পরিশোধ এবং কর বিষয়ে প্রশিক্ষণমূলক সেবা দেওয়া হয়েছে। এনবিআর জানায়, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আয়কর সম্পর্কে ভীতি দূর করার পাশাপাশি কর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ২০১০ সালে প্রথম আয়কর মেলা শুরু হয়। তখন থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গত আট বছরে মেলায় ১১ লাখ ৮৫ হাজার ১৫৪ জন মানুষ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। মেলায় নতুন করে ২ লাখ ২৬ হাজার ৭১১ জন মানুষ ই-টিআইএন খুলেছেন।
২০১০ সালে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত আয়কর মেলায় দু’টি স্টলে মোট ৬০ হাজার ৫১২ জন মানুষ সেবা নেয়। ৫ হাজার ৬৩৮ জন নতুন করে ই-টিআইএন খুলেন। কর দেন ৫২ হাজার ৫৪৪ জন। ফলে এনবিআরের কর আদায় হয় ১১৩ কোটি টাকা। সেখান থেকে মেলার স্টল ১৬৫টি বেড়ে ২০১৭ সালে দাঁড়িয়েছে ১৬৭টিতে। আর এ সময়ে সেবা নেয়া নাগরিকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৬৯ জনে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২ হাজার ২১৭ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে সেবা নেওয়ার হার বেড়েছে ১৯ গুণ। আর রাজস্ব আয় হয়েছে ৭ গুণের বেশি।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, আয়কর নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভয়ভীতি ছিলো যে, কর দিতে এলেই এনবিআর কর্মকর্তারা ধরবেন। টাকার জন্য হয়রানি করবেন।
তিনি বলেন, এনবিআরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। করের বিষয়টি সঠিকভাবে তুলে ধরতে বলা হয়েছে। ফলে এখন হয়রানির প্রবণতা কমেছে। বিশেষ করে মেলায় আসা ব্যক্তিরা কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই কর দিতে পারছেন। বর্তমানে করদাতাবান্ধব, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অন্যের ওপর তাদের যে নির্ভরশীলতা ছিলো, সেটা কমে আসছে এবং অনেকেই নিজের আয়কর রিটার্ন নিজেই পূরণ করতে পারছেন। কর সম্পর্কে অস্পষ্টতা এবং ভয়ভীতির বিষয়ও অনেকটা কেটে গেছে। সম্পাদনা : বিশ্বজিৎ দত্ত, রেজাউল আহসান