সততার বৃত্ত-বলয়ে অন্তর্দৃষ্টি
শ্যামসুন্দর সিকদার : সততা কাকে বলে? সততা শব্দটার দিকে দৃষ্টি গেলেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে মায়ের কথা। আমার মা আমাকে কখনোই অসৎ হতে বলেননি। একটু বুদ্ধি হবার পর, যেদিন স্কুলে যাবার জন্য বাড়ি হতে প্রথম বের হয়েছিলাম; সেদিন মা বলেছিলেন , ‘‘পথে যদি সোনাও পড়ে থাকতে দেখিস, তা ধরবি না। আর কেউ যদি কিছু খেতে দেয় তা খাবি না কিংবা কেউ কিছু দিতে চাইলে তা নিবি না।”
কিন্তু মার নির্দেশ কি পালন করতে পেরেছি? সোজা উত্তরে বলবো, পারিনি । ছোটবেলায় কিছুটা শক্ত হয়ে মনকে শাসন করেছি মাতৃআজ্ঞা পালন করার জন্য। অথচ বড় হলে? হয় ভালোবাসা, না হয় খাতির রক্ষা করতে গিয়ে কত জনের দেয়া কতকিছুই তো খেয়েছি। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিও এর জন্য আংশিক দায়ী। আর নিজের মনের দৃঢ়তা সেখানে যে কিছুটা কম ছিলো, তাতেও সন্দেহ নেই।
ছাত্রজীবনে অসদুপায় অবলম্বনের কথা শুনেছি এবং বুঝেছি। সেটা হলো সততার উল্টোদিক। সততা বোঝার জন্য প্রথমে উল্টোদিক থেকেই বুঝতে শুরু করেছিলাম। অর্থাৎ যা ন্যায়ত নয়Ñ তা করলে বা এমন উপায় অবলম্বন করলে, সেটা অসদুপায়। তা সবাই জানে।
তবে সত্যি কথা হলো, পরীক্ষায় নকল করা সম্পর্কে কোনো বিষয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমি শুনিনি এবং বুঝতামও না । ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার এরপর পৃষ্ঠা ৪