আশুলিয়ায় জরিনা হত্যা বাস ভাড়া করে শাশুড়ি হত্যা, পরে করলেন মামলা
শোভন দত্ত : ঢাকার আশুলিয়ায় চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ছুঁড়ে ফেলে, মেয়েকে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় নিহত জরিনার মেয়ের জামাই মো. নূর ইসলাম (২৯), বেয়াইন আমেনা বেগম (৪৮) ও মেয়ের বিয়ের ঘটক মো. স্বপনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া হত্যাকা-ে ব্যবহৃত বাসটিও আটক করেছে পিবিআই কর্মকর্তারা। সূত্র : এনটিভি অনলাইন
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআইয়ের প্রধান পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার। তিনি জানান, নিহত জরিনা খাতুনের মেয়ে রোজিনার বিয়ের পর থেকেই তার শ্বশুরবাড়িতে কলহ চলছিল। সপ্তাহখানেক আগে এই কলহ মারাত্মক আকার ধারণ করে। একপর্যায়ে রোজিনাকে তার স্বামী নূর ইসলাম ব্যাপক মারধর করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে, এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। রোজিনার স্বামী ও তার শ্বাশুড়ি পরিবারের কলহের জন্য রোজিনার মা জরিনাকে দায়ী করছিলেন। ঘটনার দিন এই কলহের সমাধান করতেই নিজের বাবাকে নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন জরিনা।
এদিকে জরিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন নূর ইসলাম ও তার মা আমেনা বেগম। নূর ইসলাম বিয়ের ঘটক স্বপনের সহযোগিতায় একটি মিনিবাস ভাড়া করেন। বাসচালক, কন্ড্রাক্টর ও দুজন সহকারীসহ চারজনের সঙ্গে ১০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়।
ঘটনার দিন স্বপন শিমুলতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জরিনা ও তার বাবা আকবর আলী মন্ডলকে ঐ বাসে উঠিয়ে দেন। এ দুজন ছাড়া বাসে আর কোনো যাত্রী না থাকায় চালক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মরাগাং আশুলিয়া ব্রিজের উত্তর পাশে এসে আকবরকে মারধর করে চলন্ত গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে জরিনাকে হত্যা করে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে চলে যায় সহযোগীরা।
জরিনার মেয়ের জামাই গ্রেপ্তার নূর ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে ঢাকা জেলার উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে পিবিআই ঢাকা জেলা তদন্ত চালায়। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা আচার্য্য