মিস্টি কুমড়া চাষে বদলে গেছে চরাঞ্চলের ২৫ হাজার পরিবারের জীবন
রাশিদ রিয়াজ : নদীসিকস্তি পরিবার ও ভূমিহীন কৃষক যাদের ভাগ্য ফিরতে শুরু করেছে মিস্টি কুমড়া চাষে। গত ৯ বছর ধরে রংপুরে এসব পরিবার মিস্টি কুমড়া চাষে এক অসাধ্য সাধন করেছে। চরাঞ্চলে মিস্টি কুমড়া চাষের আগে তাদের দুর্ভোগ ছিল নিত্যদিনের। বাস করত তারা বাঁধের পাশে। দারিদ্রের নির্মম কষাঘাত তাদের পিছু টানছিল। সরকারি ও এনজিও’র সাহায্যে মিস্টি কুমড়া চাষে তাদের ভাগ্য বদলে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হর্টিকালচার স্পেশালিস্ট খোন্দকার মোহাম্মদ মিসবাহুল ইসলাম বলেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চরাঞ্চলের এসব পরিবার মিস্টি কুমড়া চাষে যে ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে এসেছে তাতে বাম্পার ফলনও সম্ভব হয়েছে। ২ হাজার হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত মিস্টি কুমড়ার চাষাবাদ ছড়িয়ে আছে রংপুর, গাইবান্ধা, নিলফামারি, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট এলাকার জমিতে।
গত বছর এসব পরিবার ৫০ হাজার টন মিস্টি কুমড়া উৎপাদন করেছে যার বাজার মূল্য ছিল ৫’শ কোটি টাকা। এবার তারা আরো আড়াই হাজার হেক্টর এলাকায় মিস্টি কুমড়ার চাষ সম্প্রসারণ করছে। সাড়ে ৩ হাজার পরিবার এধরনের চাষাবাদে জড়িত। চরের বালু জমিতে নির্ধারিত স্থানে পরিমিত উর্বর মাটি ও সারের সংমিশ্রনে মিস্টি কুমড়া গাছ লাগানোর পর এর শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে পড়ছে। গাছে ফুল রুপান্তরিত হচ্ছে মিস্টি কুমড়ায়। গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, কুড়িগ্রাম, আদিতমারি সহ এলাকার পর এলাকা এখন মিস্টি কুমড়া চাষে উৎসাহী কৃষক এগিয়ে আসছে।
মোস্তাফিজ ও তার স্ত্রী আকলিমা ২ একর ৭৫ ডিসিমাল জমিতে গত বছর মিস্টি কুমড়া চাষে লাভবান হয়েছেন। জমিহারা জুয়েল হোসেন, গোলজার মিয়া, সোহাগী বেগমের মত আরো অনেকে আছেন এ সারিতে। কোনো কোনো পরিবার মিস্টি কুমড়া বিক্রি করে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেছেন। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস