জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ধ্বংস হয়েছে সিন্ধু সভ্যতা!
আসিফুজ্জামান পৃথিল : প্রতœতাত্বিকদের কাছে এখনও এক রহসস্যের নাম সিন্ধু সভ্যতা। এই নগর সভ্যতার সৃষ্টি নিয়ে যতটা না রহস্য তারচেয়ে ঢেঢ় বেশি রহস্যময় মহেঞ্জোদারো এবং হরপ্পার ধ্বংস হয়ে যাওয়া। কেনো এই দুই মহান শহর ধ্বংস হয়ে গেলো তার যথাযথ প্রমাণ আজো মেলেনি। তবে বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন নতুন এক সম্ভাবনার কথা। খুব সম্ভবত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই ধ্বংস হয়ে গেছে ৪ হাজার বছরের এই পুরাতন সভ্যতা! সায়েন্স অ্যালার্ট
কিন্তু এরপরেও প্রশ্ন থেকে যায়, আজ আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে যেভাবে দেখি, সেসময় বৈশি^ক উষ্ণতা বৃদ্ধি একইভাবে সম্ভব ছিলো কিনা? গবেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মানেই বৈশি^ক উষ্ণতা বাড়বে তা নয়। সেসময় সিন্ধু নদীর চারপাশে দেখা দিয়েছিলো ‘মিনি বরফ যুগ’! সিন্ধু এলাকায় ক্রমাগত দীর্ঘ হচ্ছিল শীতকাল আর গ্রীষ্মকালে দেখা দিচ্ছিল তীব্র খরা! এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিলো কৃষিখাতে। এরফলে হরপ্পার প্রশাসন তাদের নাগরিকদের যথেষ্ট খাদ্য সরবরাহ করতে পারছিলো না। তাই তারা একমাত্র যৌক্তিক কাজটিই করেছে। এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।
উডস হোল সমুদ্রগবেষণা ইন্সটিটিউট এর ভূতত্ববীদ লিভিউ গিওসান এ বিষয়ে বলেন, ‘সিন্ধুর আশেপাশে গ্রীষ্মকাল একবারেই শুকনো যাচ্ছিল। কিন্তু নিচের অংশে বৃষ্টি নিয়মিতই হতো। যখন ভূমধ্যসাগর থেকে আসা শীতকালীন ঝড় হিমালয়ে আঘাত করতো, পাকিস্তান এলাকায় বৃষ্টিপাত হতো। কিন্তু বাকি সময় পানির প্রচ- অভাব থাকতো।’
আরব সাগরের তলদেশে প্রাপ্ত প্রাচীন পলিমাটি পরীক্ষা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। হঠাৎ করে মৌসুম পরিবর্তন হওয়াতেই পুরো সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেছে বলেই নিশ্চিত হতে যাচ্ছেন গবেষকরা। সম্পাদনা : শরিফউদ্দিন আহমেদ