শিবির বন্ধ করছে মিয়ানমার ফেরা হচ্ছে না রোহিঙ্গাদের
লিহান লিমা : বিশ্ব যখন মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্সনে জোর দিচ্ছে তখনো দেশটি থেকে পালাচ্ছে শত শত রোহিঙ্গা। ৬ বছর আগে চরমপন্থী বৌদ্ধ নেতাদের হামলার শিকার হয়ে বসত-বাড়ি ছেড়ে পশ্চিম রাখাইনের সংর্কীণ শিবিরে থাকতে শুরু করেন রোহিঙ্গারা। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক চাপে দেশটির নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্যাম্পটি বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করার কথা জানায়।
সম্প্রতি রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মিয়ানমারের পাঁচটি শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য শিবিরের কাছেই নতুন স্থায়ী বাসস্থান নির্মাণ করা হচ্ছে। নিজেদের গ্রাম কিংবা বাড়িতে ফেরত যাওয়ার বদলে সরকারের নির্দিষ্ট করে দেয়া স্থানেই থাকতে হবে তাদের। নতুন বাসস্থানেও আগের মতোই চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা থাকবে রোহিঙ্গাদের ওপর। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতা কেওই আয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা নতুন বাড়িতে যাচ্ছি, কিন্তু নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। কারণ আমাদের এর বাহিরে কোথাও যাওয়ার স্বাধীনতা নেই।’
মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবিক কর্মসূচি সমন্বয়ক বিষয়ক মুখপাত্র পিয়েরে পেরন বলেন, ‘এসব ক্যাম্প বন্ধ করার আগে মিয়ানমার সরকারের এটি নিশ্চিত করা উচিত যেন, এসব মানুষ তাদের নিজ বাড়িতে ফেরত যেতে পারেন।’
মিয়ানমারের ত্রাণ, জনকল্যাণ ও পুনবার্সন বিষয়ক মন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে রয়টার্সের সঙ্গে সাক্ষাতকারে তিনি আওর বলেন, ‘ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড পাওয়ার পর তাদের চলাফেরায় আর কোন বাধা থাকবে না, সেসঙ্গে তারা স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় সম-অধিকার পাবেন।’ রয়টার্স, ইয়ন, সম্পাদনা : শরিফ আহমেদ