মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভকারী শ্রমিকের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, নিহত ১
মনজুর আহমেদ : মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভরত শ্রমিকের সঙ্গে গতকাল পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে বুলি বেগম (৪০) নামে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গতকাল সকালে এনআর গ্রুপের শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়কে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন ধরিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ শুরু করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত বুলি বেগম এনআর গ্রুপের ৭ তলা ৮ নাম্বার লাইনের হেলপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার বাড়ি নাটোরে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, উৎপাদন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এন আর গ্রুপের শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়কে অবস্থান নেয় ও বিক্ষোভ করে। এসময় পুলিশ শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে ও লাঠিপেটা করে এতে বুলি বেগম নামে এক শ্রমিক নিহত হয়। এখবর ছড়িয়ে পরলে শ্রমিকরা রাস্তায় নামলে এক পর্যায়ে শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ও কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ ইচ্ছা করে এ হামলা করেছে। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান কারখানা মালিকদের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা শান্ত হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি এস এম মঞ্জুর কাদের দাবি করেন, পুলিশ কারো ওপর হামলা করেনি। বরং শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। শ্রমিকরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ও শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে।
শ্রমিক নিহত হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে ভয়ে ও আতঙ্কে হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুব উন নবী জানান, শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা করলে ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশ শ্রমিকদের ওপর কোনো আঘাত করেনি। সম্পাদনা : মুরাদ