দুর্নীতিবাজ সরকারি চাকুরেদের আমলনামা সংগ্রহ করা হচ্ছে
তরিকুল ইসলাম সুমন : দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চিহ্নিত করে তাদের আমলনামা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট এই আমলনামা সংগ্রহ করছে। দুর্নীতি কিছুটা কমলেও কাক্সিক্ষত মাত্রায় কমেনি। আর দুর্নীতি বাংলাদেশের মতো উন্নয়শীল দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন, বিচারিক ব্যবস্থা, সমৃদ্ধি, উন্নয়ন এমনকি গণতন্ত্রকেও ম্লান করে দিচ্ছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করে। আর দুর্নীতি এমন অপরাধ যা খুব বেশিদিন লুকিয়ে রাখা যায় না। এ অপরাধ তামাদি হয় না। এটি প্রকাশ হবেই। এতে আমাদের মনে হয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের দৃঢ় অবস্থান রয়েছে। মানুষ দুর্নীতিবাজদের মন থেকে ঘৃণা করে।
ইকবাল মাহমুদ জানান, গত তিন বছরে ছয়শ’র বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দুদক। ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে ঘুষ নেওয়া অর্ধশতাধিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
এছাড়া গত ১২ বছরে (২০০৭-২০১৮) পাঁচ হাজার ৮৯টি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে দুদক। এ সময়ে বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরোর আমলের মামলাসহ পাঁচ হাজার ৫২০টি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আর গত ১০ বছরে (২০০৯-২০১৮) এক হাজার ৩২১টি মামলায় আসামিদের সাজা হয়েছে। কমিশনের মামলায় ২০১৭ সালে সাজার পরিমাণ ছিল ৬৮ শতাংশ। সাজার হার ক্রমাগত বাড়ছে। কমিশনের প্রত্যাশা শতভাগ মামলায় সাজা।
দুদক চেয়ারম্যান আরো জানান, গত বছর কমিশন প্রায় ১৮ হাজার লিখিত অভিযোগ পেয়েছে। এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১২ হাজার ২২৭টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুদক অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬-এ ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ২২০টি ফোন কল এসেছে। সম্পাদনা : রেজাউল