রাজনৈতিক নেতাদের সম্পদের হিসাব যাচাই করা উচিত : সিপিডি
রমজান আলী : নির্বাচন কমিশনের উচিত বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং রাজস্ব বোর্ড নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। সেখানে কীভাবে নিবার্চন হবে, নির্বাচন ব্যয় কত হবে, ব্যয়ের বাহিরে অর্থ খরচ করলে তার শাস্তি কী হবে এবং নির্বাচনের হলফনামায় সম্পদের যে বিবরণ দিচ্ছে তার একটি সুষ্ঠ তদন্ত করা। নির্বাচন কমিশনের উচিত দুদকে দায়িত্ব দিয়ে রাজনৈতিক নেতার হলফনামায় যে সম্পদের বিবরণ দিয়েছে তা তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনকে একটি সনদ দেয়া। তাহলে রাজনৈতিক নেতাদের আসল সম্পদের বিবরণ করা যেত। গতকাল ব্রাক সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনি ব্যয় এখন অনেক যোগ্য প্রার্থীকে প্রতিদ্দন্ধিতা থেকে দূরে রাখতে বাধ্য করছে। নির্বাচনি ব্যয়ই এখন গণতন্ত্রের প্রতিবন্ধক হিসেবে পরিণত হচ্ছে কিনা, সেটা আমাদের বিবেচনা করার সময় হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নতি হয়নি। আগামীতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে মানুষের জীবনযাত্রার মান কিভাবে উন্নতি করা হবে ও কীভাবে উন্নতি করবে সেই বিষয় বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের ইশতেহারে সুনিদিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
তিনি বলে, এই সময়কালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। তাই এসডিজি বাস্তবায়ন করার জন্য জিডিপিতে আরো প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে রপ্তানি বাড়াতে হবে। বৈদাশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে মানব সম্পাদরে দক্ষতা বাড়াতে হবে। সবচেয়ে বেশি জোর দিতে কৃষিখাতে। এছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষাখাতে আরো উন্নয়ন করতে হবে। বেকারত্ব কমাতে হবে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বড় ঋণের পাশাপাশি এসএমই ঋণের দিকে বেশি জোর দিতে হবে। তাহলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো বাড়াবে। তিনি আরও বলেছেন, দেশের উন্নয়ন খাতে কাজের ব্যয় অন্য দেশের তুলায় অনেক বেশি। তাই উন্নয়নের মান ঠিক রেখে ব্যয় কমাতে হবে।
ড. মোস্তাফিজুর বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে সম্পদ যে পাচার হচ্ছে, জিরো টলারেন্স নীতির মাধ্যমে এটাকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, পাচার হচ্ছে মূলত বিভিন্ন রকম দুর্নীতি ও সাধারণ জনগণের অর্থ লুট করার পর।
অনুষ্ঠানের উপস্থিতিদের মধ্যে ছিলেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন । সম্পাদনা : ইকবাল খান