পার্থে কোহলির আউট নিয়ে বিতর্ক
স্পোর্টস ডেস্ক : অ্যাডিলেডে ব্যাট হাতে ধৈর্য্যরে পরিচয় দিলেও রানের ফোয়ারা ছোটাতে পারেননি। কিন্তু সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পার্থেই স্বরূপে দেখা দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। প্রথম ইনিংসে ২৫৭ বল খেলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও। ১২৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে প্যাট কামিন্সের বলে আউট হয়ে ফেরেন। তবে কোহলির ওই আউটটি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
কামিন্সের অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারিটি চাইলে ছাড়তে পারতেন কোহলি। তবুও ক্রিজে থিতু হওয়া আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ড্রাইভ করেছিলেন। টাইমিংয়ে একটু গড়বড় হওয়ায় ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। নিচু হয়ে আসা বলটি ডাইভ দিয়ে তালুবন্দী করেন হ্যান্ডসকম্ব। কিন্তু কোহলির মনে সন্দেহ ছিল। সহসাই তিনি মাঠ ছাড়েননি। ক্যাচটা নেওয়ার পরই হ্যান্ডসকম্ব আঙুল উচিয়ে আউটের নির্দেশ দেন। তার সতীর্থদের উদযাপনেও ছিল এর স্বীকৃতি।
কিন্তু মাঠের আম্পায়ারদ্বয় আউট দিয়েও টিভি আম্পায়ারের দ্বারস্থ হন। ভিডিও রিপ্লেতে তারা দেখেছেন, হ্যান্ডসকম্বের আঙুল বলের নিচে থাকলেও সেটি হাফ ভলি ক্যাচ ছিল কি না, সে ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু বোঝা যায়নি। টিভি আম্পায়ার নাইজেল লং এ জন্যই মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেননি। কারণ, ক্যাচ যে হয়নি এ ব্যাপারে তার পরিষ্কার প্রমাণের দরকার ছিল।
পরে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করেছেন ভারতের ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে। টুইটারে তিনি জানিয়েছেন, ‘জানি এই আউট নিয়ে অনেক বিতর্ক হবে। তবে এটা মনে রাখা জরুরি, আইন বলছে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে অবশ্যই অকাট্য প্রমাণ লাগবে। কোহলি হয়তো ভেবেছেন, বাউন্স করেছে তবে ঐতিহাসিকভাবে এগুলো আউট দেওয়া হয়।’
এটা নিয়ে কথা বলেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনও। তার কাছেও সিদ্ধান্তটি সঠিক মনে হয়েছে। টুইটে ভন বলেন, ‘কোহলির ক্যাচটা দুর্দান্ত। হাতের আঙুলের ওপর বাউন্স করেছে, আউট, ভালো সিদ্ধান্ত।’
অবশ্য কোহলি আউট না হলে ভারতের প্রথম ইনিংস আরও বড় হতে পারত। লাঞ্চের আগের ওভারে (৯২.৬ ওভার) ভারতের অধিনায়ক আউট হওয়ার পর বাকিরা টিকেছেন মাত্র ১২.৫ ওভার। শেষ ৫ উইকেট পড়েছে ৩২ রানের ব্যবধানে। এতে ২৮৩ রানেই প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ভারত। অথচ কোহলি উইকেটে থাকতে মনে হয়েছে ভারতের লিড নেওয়া ¯্রফে সময়ের ব্যাপার।