বাঙালির প্রতিবাদী সত্ত্বা কি ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে?
আবু তাহের খান
কিছুদিন আগে রাজধানীর টিকাটুলি মোড়ে ছিনতাইয়ের কবলে পড়া একজনকে রক্ষা করতে যেয়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তরুণ শিক্ষার্থী খোন্দকার আবু তালহা। সংবাদ মাধ্যমের কল্যাণে এটি এখন অনেকেরই জানা ঘটনা। তো সেই আবু তালহার বাবা খোন্দকার আবু তালেব পুত্রের সাহসিকতার পুরস্কার গ্রহণ করতে যেয়ে প্রদত্ত বক্তব্যে কষ্টমাখা কণ্ঠে সবমিলিয়ে যা বললেন তার সারকথা হচ্ছে, অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে মানুষের সোচ্চার ও প্রতিবাদী হওয়ার মানসিকতা সমাজ থেকে ক্রমশই লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। স্স্থু স্বাভাবিক জীবনযাপনের স্বার্থে যা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
খোন্দকার আবু তালেবের এ বক্তব্য বস্তুতই আমাদের বর্তমান সমাজের এক করুণ বাস্তবতা। অথচ বহুকাল ধরে বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর অন্যতম অহংকারের জায়গাই ছিলো তার এইপ্রতিবাদী সত্ত্বা। একেবারে সাম্প্রতিক ইতিহাসের দিকে তাকালেও এ বক্তব্যের সত্যতা যথেষ্ট মাত্রায় চোখে পড়ে। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন কিংবা তার সূত্র ধরে স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা পর্যায়ের বিভিন্ন ঘটনা বস্তুত সে প্রতিবাদী সত্ত্বারই বহিঃপ্রকাশ। তবে এ প্রতিবাদী মানসিকতা যে শুধু রাজনৈতিক প্রতিবাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো, তাই নয়। একইভাবে তা ছিলো এ দেশের সামাজিক বৈশিষ্ট্যেরও একটি অন্তর্গত উপাদান। এ ক্ষেত্রে বরং এরূপ বলাটাই অধিকতর সমীচীন যে, বাঙালির ঐ প্রতিবাদী সামাজিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই তার রাজনৈতিক প্রতিবাদের ধারাটি বিভিন্ন সময়ে এত প্রবল ও বিস্তৃততর হতে পেরেছে। অর্থাৎ সমাজের গভীরে প্রোথিত বোধ ও উপলব্ধি থেকেই বস্তুত ঐসব রাজনৈতিক প্রতিবাদের বহিঃপ্রকাশ। আর তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই সময়ের উদ্বেগজনক নতুনতর প্রবণতা হচ্ছে, সমাজ থেকে ঐ প্রতিবাদী মানসিকতা ক্রমশই হারিয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু কেন?
ব্যক্তিগত মত এই যে, ১৯৯০-এর দশকের গোড়াতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার যে একচ্ছত্র বিস্তার ঘটতে শুরু করে, তা থেকেই বস্তুত এ ধ্বসের সূত্রপাত। তথাকথিত মুক্তবাজার অর্থনীতির এ নতুন বিশ্বব্যবস্থা মানুষের ভোগের বৈষয়িক ও মানসিক উভয়বিধ উপকরণগুলোকে এত সহজেই আয়ত্ত্বের ও সামর্থের নাগালের মধ্যে পৌঁছে দেয় যে, এই সহজলভ্যতার সুযোগে সমাজের একটি বড় অংশ কখনো বুঝে আবার কখনো না বুঝেই এসবের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। আর এই ভোগ ও আসক্তিতে বুঁদ হয়ে পড়া ন্যুজ¦ মানুষ ক্রমেই তার ভেতরকার স্বাভাবিক মানবিক কর্তব্যবোধ এবং দীর্ঘ সামাজিক সংগ্রাম ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অর্জিত উন্নত নৈতিকতার বোধগুলোকে হারাতে থাকে, যে হারানো তালিকার একটি অন্যতম বিষয় হচ্ছে আলোচ্য ‘প্রতিবাদী সত্ত্বা’।
মুক্তবাজার অর্থনীতির ব্যাপক প্রসারের সুবাদে বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ দখল করে নিয়েছে নানা ফটকা ব্যবসা, যে ব্যবসার অন্যতম কৌশলই হচ্ছে ধূর্ততা ও চতুরতা। আর গ্রাম-শহর মিলে এই ধূর্ত-চতুর মানুষের সংখ্যাও এখন নেহায়েত কম নয়। ক্রমবর্ধমান এই চতুর মানুষেরা নিজেরা এত নানামুখী ধান্দায় লিপ্ত যে, তাদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ফুসরত বা নৈতিক মনোবল কোনোটাইনেই। আর ফটকা ব্যবসার ক্রমপ্রসারমানতার ধারায় এই শ্রেণির চতুর মানুষের সংখ্যা যেহেতু দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেহেতু একই ধারায় সমাজ থেকে প্রতিবাদী মানুষের হার হ্রাস পাবে—সেটাই তো স্বাভাবিক এবং তা পাচ্ছেও।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং কর্মসংস্থানের অধিকাংশ সুযোগ মূলত বড় শহরকেন্দ্রিক হয়ে ওঠার কারণে গ্রাম বা ছোট শহরের বিপুল সংখ্যক মানুষ এখন প্রতিদিনই বড় শহর বা রাজধানীতে যাতায়াত করেন। এরা রাজধানী বা বড় শহরের নিয়মিত বাসিন্দা নন। তারা এখানে কাজের অনুসন্ধান, তয়তদবির, ব্যবসায়ের মালামাল ক্রয় ইত্যাদি নানা প্রয়োজনে আসেন এবং দিনান্তে ফিরে যান। ধারণা করা হয় যে, বর্তমানে ঢাকা শহরে চলাচলকারী মানুষদের অন্ততঃ এক-চতুর্থাংশই অস্থানীয় বা অনাবাসী। আর সারা পৃথিবীজুড়েই অস্থানীয় বা অনাবাসী মানুষদের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা কখনোই নিজেদেরকে সাময়িকভাবে অবস্থানকারী এলাকার সমাজের অংশ বলে গণ্য করেন না। ফলে ঐ সমাজে যখন কোনো অন্যায় বা অনাচার ঘটে, তখন তার প্রতিবাদ করার কোনো দায় বা আগ্রহ কোনোটিই ঐ অস্থানীয় মানুষেরা অনুভব করেন না। আর বাংলাদেশের সমাজে অনিয়মিতভাবে চলাচলকারী এরূপ অস্থানীয় মানুষের সংখ্যা যেহেতু বেড়েই চলেছে, সেহেতু সহজেই বোধগম্য যে, এই সূত্রের প্রতিবাদহীনতার পরিধিও দিনে দিনে আরো বিস্তার লাভ করবে, যদিচ না এ ব্যাপারে কার্যকর প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবার, সমাজ সর্বত্রই নৈতিক শিক্ষার ঘাটতি এখন চরমে। ফলে নৈতিকতার মৌলিক বোধবিহীন মানুষ সামাজিক ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিকভাবেই আপোষকামী বা পলায়নপর মনোবৃত্তির হয়ে থাকে।আর এরূপ মানুষদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে না চাওয়াটাই স্বাভাবিক। আর দেশের মোট জনগোষ্ঠীর সিংহভাগই যেহেতু এ ব্যবস্থার আওতাধীন, সেহেতু সমাজের বৃহত্তর অংশের মধ্যেই এই প্রতিবাদহীনতার মানসিকতা ধীরে ধীরে সংক্রমিত হয়ে পড়ছে। রাষ্ট্র্রে নীতিনির্ধারক যারা শিক্ষাসহ অন্যান্য ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য যাকে অন্যেরা অনুসরণ করেন—এই উভয় অবস্থানে যদি সহসা পরিবর্তন না আসে, তাহলে সমাজ থেকে নীতিনৈতিকতার স্খলন ও প্রতিবাদহীনতার সংস্কৃতি রোধ করা সত্যি কঠিন হয়ে পড়বে।
রাষ্ট্র পরিচালনায় স্থানীয় সরকারের অপর্যাপ্ত অংশগ্রহণও অন্যায় ও অনাচারের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদী না হয়ে ওঠার একটি বড় কারণ। বিকেন্দ্রায়িত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায়, যেখানে স্বনির্ভর শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে, সেখানে সমাজের একটি বড় অংশের মানুষই নিজেদেরকে রাষ্ট্র পরিচালন ব্যবস্থার অংশীদার বলে মনে করেন। এবং এরূপ ক্ষেত্রে তার আশেপাশে যখনই কোনো অন্যায় বা অনাচারের ঘটনা ঘটে, তাৎক্ষণিকভাবেসে এর প্রতিকারের ব্যাপারে দায়বোধ করে এবং এর নিরসনে এগিয়ে আসে। কিন্তু সে ধরনের শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার অনুপস্থিতির কারণে এ দেশের অধিকাংশ মানুষ নিজেদেরকে রাষ্ট্র ব্যবস্থার অংশীদার বলে মনে করেন না বা নিজেদেরকে উপেক্ষিত ভাবেন। আর সে ভাবনা থেকেই সাধারণ মানুষের কণ্ঠে এরূপ শুনতে পাওয়া যায় যে, ‘‘ক্ষমতায় কখন কোন দল গেল তাতে আমাদের কী আসে যায়?’’ উচ্চারণটি গতানুগতিক হলেও এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে রাষ্ট্রকে ঘিরে তাদের ক্ষোভ ও হতাশা। রাষ্ট্রের সাথে তাদের এই যে বিচ্ছন্নতা, বস্তুত এ থেকেই তৈরি হচ্ছে এক ধরনের প্রতিবাদহীনতার সংস্কৃতি। রাষ্ট্রের সাথে জনগণের এই দূরত্ব কমাতে না পারলে প্রতিবাদহীনতার এই সংস্কৃতি দিনে দিনে আরো প্রবল হয়ে ওঠবে বৈকি!
অতি দুর্বল রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামো ও দীর্ঘস্রূত্রিতাপূর্ণ বিচার ব্যবস্থাও সমাজে প্রতিবাদহীনতার সংস্কৃতি জোরদারে ভূমিকা রাখছে। যিনি প্রতিবাদ করেন তিনি যদি আশ^স্ত হতে না পারেন যে, তার এ প্রতিবাদের সমর্থনে সমাজের অন্য সদস্যরা কিংবা রাষ্ট্রের নিরাপত্তাকর্মীরা এগিয়ে আসবেন, তাহলে ক’জনইবা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাহসী হবেন? তারপরও কেউ কেউ তা করবেন যদি তিনি নিশ্চিত হতে পারেন যে, শেষ পর্যন্ত বিচার ব্যবস্থা তাকে চূড়ান্ত ন্যায্যতা প্রদান করবেই। কিন্তু বাস্তবে সে অবস্থা কি আছে? যদি না থাকে, তাহলেপ্রত্যাশার ন্যায্যতা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতিবাদী আচরণ আশা করা যাবে কেমন করে?
যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়া, আইসিটি প্রযুক্তির অপব্যবহার, দ্রুত নগরায়ন ইত্যাদিও প্রতিবাদহীনতার সংস্কৃতিকে জোরদার করছে। উল্লিখিত এই বিষয়গুলো নতুন প্রজন্মের সদস্যদেরকে ক্রমেই আত্মকেন্দ্রিকতা ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অতি ছোট পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কষ্ট ও আনন্দকে একসাথে ভাগ করে নেয়ার মানসিকতা জন্মায় না বলে অন্যের জন্য ত্যাগ করার বা অন্যায়ের শিকার হওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াবার আগ্রহ তার মধ্যে কখনোই লক্ষ্য করা যায় না। অন্যদিকে, আইসিটি প্রযুক্তির নতুন অনুষঙ্গ ফেসবুক ও এ জাতীয়সামাজিকযোগাযোগমাধ্যমেরপ্রতি আসক্তি তরুণ প্রজন্মের সদস্যদেরকে শুধু সামাজিকভাবেই বিচ্ছিন্ন করে তুলছে না, নিজেদের তারা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকেও আলাদা করে ফেলছে এবং উগ্রবাদ ও অন্যান্য নানা নেতিবাচক কর্মকা-ের সাথে সম্পৃক্ত করে তুলছে। এ অবস্থায় তারা অন্যের অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে কি, তাদের নেতিবাচক আচরণ রুখতেই বরং অন্যদের এগিয়ে আসার প্রয়োজন পড়ছে। আর দ্রুত নগরায়নের অনিবার্য ফলাফল হিসেবে নতুন নগরবাসীদের মধ্যে নাগরিক সুবিধা ভোগের আকাক্সক্ষা তীব্রতা পেলেও নাগরিক দায়িত্ব পালনের বোধটি তাদের অধিকাংশের মধ্যে প্রায় পুরোপুরিই অনুপস্থিত। ফলে পরিচয়ের সুবাদে তারা নাগরিক হলেও দায়িত্ব পালনের সুবাদে একেবারেই অপ্রস্তুত। ফলে এই অপ্রস্তুত নাগরিকদের কাছ থেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ আশা করাটা একেবারেই অবান্তর।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উদাহরণযোগ্য প্রশংসিত নাম এবং এটি নিঃসন্দেহে উন্নততর ভবিষ্যতের ইঙ্গিতবাহী। কিন্তু পাশাপাশি এটিও সত্য যে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের এ ধারায় সম্পদের একটি বিরাট অংশের মালিকানা এমনসব মানুষদের হাতে চলে যাচ্ছে, শিক্ষা ও গুণগত মানের বিচারে যাদেরকে কোেনাভাবেই উচ্চতর শ্রেণির পর্যায়ভুক্ত বলে গণ্য করা যায় না। বস্তুত হঠাৎ সম্পদশালী হয়ে ওঠা শিক্ষাহীন-মানহীন এই মানুষদের বোধবিবেচনার আওতায় অন্যায়ের প্রতিবাদ জ্ঞাপনের মতো গুণাবলীর প্রত্যাশা একেবারেই অচিন্তনীয়; এবং এই শ্রেণির মানুষেরাও বাঙালির প্রতিবাদী সত্ত্বাকে অনেকাংশে বিলীন করে দিচ্ছেন বৈকি!
বাঙালির প্রতিবাদী সত্ত্বা হারিয়ে যাচ্ছে কিনা—এ প্রশ্নের জবাবে কয়েক বছর আগে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন অত্র প্রবন্ধকারকে বলেছিলেন যে, তিনি এরূপটি মনে করেন না। সেই সূত্রে, বিদ্যুতের দাবিতে কানসাটের কৃষকদের প্রতিবাদী আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেসে সময়তিনি তার বক্তব্যের স্বপক্ষে একটি প্রবন্ধও লিখেছিলেন। প্রচ- আশাবাদী মানুষ সেলিনা হোসেনের ঐ বক্তব্যের পর ইতোমধ্যে এক দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতির অবনতি ভিন্ন কোনো উন্নতি হয়েছে বলে দৃশ্যমান বাস্তবতা প্রমাণ করে না। তবু তার উচ্চারিত আশাবাদকে সামনে রেখেই রাষ্ট্র ও সমাজের ক্ষমতাকাঠামোয় অবস্থানকারী বিবেকবান মানুষদেরকে উদ্দেশ্য করে শুধু এটুকু বলতে চাই যে, বাঙালির ঐ প্রতিবাদী সত্ত্বাই বস্তুত এ ভূখ-কে একটি স্বাধীন দেশে রূপান্তরের মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করেছে। আজ এ স্বাধীন দেশের গঠন ও বিকাশের প্রক্রিয়ায় আমরা যেন তা ভুলে না যাই। লেখক : পরিচালক, ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টার, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব