দেশে খাদ্যসেবা শিল্পের নাটকীয় বিকাশ
ওমর ফারুক : বাঙালিরা ভোজন রসিক। বর্তমানে বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে কোনো ক্যাফে বা রেস্তোরা পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশে খাদ্যসেবা শিল্পের নাটকীয় বিকাশ হয়েছে। গত কয়েক বছরে ঢাকা শহরে নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা চালু হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুবান্ধব ও আত্বীয়-স্বজন নিয়ে মাঝে-মধ্যে রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার আগ্রহ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এই আগ্রহ পরিণত হচ্ছে সংস্কৃতিতে। মূলত মানুষের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় তারা দেশি-বিদেশি খাবার সম্পর্কে জানতে পারছেন।
একটা সময় ছিল যখন খুব কম বাংলাদেশিই বিদেশি খাবার খেতে রেস্টুরেন্টে যেতেন। কিন্তু এসব বিদেশি খাবার এখন পাচ্ছেন ঢাকাতেই। চাইনিজসহ নানা রকমের বিদেশি ফাস্টফুড পাচ্ছেন দেশেই।
দেশে ফাস্টফুড খাবারের প্রথম প্রচলন হয় ঢাকার আবাসিক এলাকাগুলাতে। খাবারের মান যাই হোক, ওই সময় রেস্টুরেন্টগুলো চড়া মূল্যে খাবার বিক্রির প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। আর এখন এই অবস্থার যথেষ্ট পরিবর্তন হয়েছে। রেস্টুরেন্টগুলোতে আগের তুলনায় বেড়েছে গ্রাহক সেবা।
বাংলাদেশে দ্রুত ভোগ্যপণ্য সেবা প্রদান শিল্পকে প্রধান ৩ টি শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে- খাদ্য ও পানীয়, ব্যক্তিগত সেবা ও গৃহসামগ্রী সেবা শিল্প। খাদ্য ও পানীয় শিল্পে রয়েছে দুধ ও খাবারি পণ্য, হিমায়ত খাদ্য ও আইসক্রিমসহ অন্যান্য দ্রব্য।
বাংলাদেশের সর্বদাই ক্যাটারিং এর ব্যবসা সফলতার মুখ দেখা শুরু করেছে। বাংলাদেশের কিছু ক্যাটারিং সেবা হলো- ইকবাল হোসাইন ক্যাটারিং সেবা, সালাম বাবুর্চি ক্যাটারিং সেবা, ফখরুদ্দিন ফুডস লিমিটেড ইত্যাদি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সেবা সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে আবাসন শিল্পের ব্যবসা সম্প্রতি ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। ঢাকার ধানন্ডি ও বেইলি রোড এলাকায় গেলে দেখা যাবে কিছু বাণিজিক ভবন গড়ে উঠেছে। যার বেশিরভাগই ক্যাটারিং রেস্টুরেন্ট সেবার জন্য। সম্পাদনা : ইকবাল খান