জ¦ালানি ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট
সালেহ্ বিপ্লব : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা কওে যে বাংলাদেশে আগামী ৩০ ডিসেম্বর একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার মার্কিন সরকারের এ মনোভাবের কথা জানিয়েছেন। বাংলাদেশে দায়িত্ব নিয়ে আসার পর প্রধানমন্ত্রীর সাথে এটিই মিলারের প্রথম সাক্ষাত। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পর্যবেক্ষণের জন্য তার দেশ ৩২ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে। মার্কিন দূতাবাসের ১১টি দল নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগের দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের কথা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানান। বিরোধী দলের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ নাকচ করে দেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রদূতকে তিনি জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের দুই কর্মী নিহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আমার দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরতে বলেছি। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার পরিবেশ মিয়ানমারকেই সৃষ্টি করতে হবে। এব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার জানান, জ¦ালানি ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় শেখ হাসিনা শিক্ষাখাতের উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। বিমানের ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট আবার চালু করতে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে জিডিপি’র হার ৮ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মিয়া মো. জয়নাল আবেদীন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : ইকবাল খান