১ লাখ ১৩ হাজার থেকে ৪ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা ১০ বছরে বাজেটের আকার বেড়েছে সাড়ে ৪ গুণ
রমজান আলী : সরকারের টানা দুই মেয়াদে ১০ বছরে বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। ২০০৯ সালে দলটি ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বাজেটের আকার এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। অর্থবছরে ২০১৮-১৯ বাজেটের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। ক্ষমতাসীন সরকারের ১০ বছরে বাজেটের আকার বেড়েছে পাঁচ গুণ।
বাজেট বৃদ্ধির এই হারকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত দুই মেয়াদে গড় প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ওপরে রয়েছে। এর অর্থ, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বাড়ছে। অর্থনীতির আকার বাড়লে বাজেটের আকারও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রতিবছর বাজেটের আকার বাড়লেও বাস্তবায়নের হার কমছে। অর্থবছরের শুরুতে যে বাজেট ঘোষণা করা হয়, বছর শেষে তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। এটা বাজেটের আকার বাড়াটাকে কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
গত ৭ জুন ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট। স্বাধীনতার পর কোন সরকার টানা ১০টি বাজেট উপস্থাপন করতে পারেনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান আবুল মাল আবদুল মহিত। তিনি ২০০৯ সালের ১১ জুন (৩৯তম) ২০০৯-১০ অর্থবছরের ১ লাখ ১৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকার বাজেট দেন। এই বাজেটটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০১০-১১ অর্থছরে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেট ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার ঘোষণা করা হয়। আগামী ৭ জুন উপস্থাপন করা হবে দেশের ৪৮তম বাজেট।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য পর্যালোচনা দেখা যায়, ২০১০-১১ সালে বাজেট বাস্তবায়নের হার ছিল ৯৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, ২০১১-১২ অর্থবছরে বাস্তবায়ন ৯৩ দশমিক ১৮ শতাংশ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৯০ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭৮ দশমিক ৫০ শতাংশ মূল বাজেট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছর এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের হার ৭৬-৭৭ শতাংশের কাছাকাছি। সম্পাদনা : ইকবাল খান