ভারতের জিএসপি এখনই বাতিল নয়, জানালো যুক্তরাষ্ট্র
আবুল বাশার
ভারতকে দেওয়া অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) বাতিলের যে সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র নিয়েছিল, তা এখনই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দেরি করতে চান। মার্কিন প্রশাসনের একাধিক প্রভাবশালী আইন প্রণেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদের মধ্যে ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী তুলসি গ্যাবার্ডও রয়েছেন।
গ্যাবার্ড বলেন, আমার আশা, এ বিষয়ে আমরা কিছুদিন দেরি করতেই পারি। ভারতের নির্বাচনের ফল কি হয়Ñতা পর্যালোচনা করেই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নেব। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থানও একই রকম বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। ভারতের সঙ্গে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিবেচনায় এ বিষয়ে মার্কিন সিনেট এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না বলেও তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জিএসপি’র আওতাভুক্ত দেশগুলোর বিশেষ কিছু পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোয় উন্নয়ন জোরদার করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র এ ছাড় দেয়। চলতি মাসেই সিনেটকে ট্রাম্প জানান, তিনি তুরস্ক ও ভারতকে দেওয়া এ জিএসপি প্রত্যাহার করতে চান। বর্তমানে এ সুবিধার আওতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় দুই হাজার পণ্য মার্কিন বাজারে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পায়। তবে এ ক্ষেত্রে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশগুলোকে মার্কিন কংগ্রেসের বেঁধে দেওয়া বেশকিছু মানদন্ড ও উন্নয়ন শর্ত পূরণ করতে হয়।
২০১৭ সাল থেকে ভারত জিএসপির কারণে রফতানি বাণিজ্যে প্রচুর লাভ করে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশটির শুল্কমুক্ত রফতানির পরিমাণ ৫৭০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। তবে বর্তমানে ভারত একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশে পরিণত হচ্ছে এবং তাদের সঙ্গে বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্র ঠকছেÑএ অজুহাতে ভারতকে দেওয়া জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেন তিনি। তবে এখনও এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেয়নি তার প্রশাসন। বিশ্বে জিএসপি সুবিধা থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত দেশ হচ্ছে ভারত। আর সেই সুবিধা প্রত্যাহার করা অবশ্যই দিল্লির কাছে একটি বড় ধাক্কা। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ভারতের বিরুদ্ধে এর আগে এত বড় পদক্ষেপ নেননি ট্রাম্প।
সম্প্রতি ই-কমার্স বাণিজ্য নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করেছে ভারত। নতুন নিয়ম অনুযায়ী আমাজন ইন করপোরেশন ও ওয়ালমার্ট ইন করপোরেশন ভারতের বাজারে অবাধ সুবিধা পাচ্ছে না। মূলত নিজেদের প্রতিষ্ঠান ফ্লিপকার্টকে সুবিধা দিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।