চট্টগ্রাম টেস্টে ৩য় দিন শেষে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ
আক্তারুজ্জামান : সাগরিকায় নিজেদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ধুঁকছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সফরকারী আফগানদের ৩৪২ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ২০৫ রানে গুটিয়ে গেছে সাকিব আল হাসানের দল। ১৩৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ২৩৭ রান যোগ করেছে রশিদ খানরা। ফলে গুটিয়ে যাওয়ার আগেই বাংলাদেশের সামনে ৩৭৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে। যদিও আলো স্বল্পতার কারনে সময়ের একটু আগেই দিন শেষ করেছেন আম্পায়াররা। আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ মাত্র তিনবার তিনশ ছাড়াতে পেরেছে। ২০০৮ সালে ঢাকা টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪১৩, ২০১০ এ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ৩৩১ এবং দুবছর পর একই মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে ৩০১ রানই চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। আর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাটিং করে জয়ের সর্বোচ্চ রান ২১০। সেটাও ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।
গতকাল তৃতীয় দিনের শুরুতে তাইজুলকে নিয়ে মোসাদ্দেক ক্রিজে নেমেছিলেন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার আশায়। কিন্তু সেটা আর হয়নি। ৪৮ রানে মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকলেও ২০৫ রানের মধ্যে ফিরে যান তাইজুল ও নাঈম। আফগানদের হয়ে রশিদ খান ৫টি ও মোহাম্মদ নবি ৩টি কে উইকেট শিকার করেন।
১৩৭ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিং নেমে সাকিবের ঘুর্ণিতে শুরুতেই খেই হারিয়েছিলো আফগানরা। প্রথম ওভারেই ওপেনার ইহসানুল্লাহ ও আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহকে ফিরিয়ে ম্যাচে রং ফেরান। কিন্তু সে রং উবে যেতে বেশি সময় লাগেনি। ইবরাহিম জাদরানকে নিয়ে ১০৮ রানের জুটি গড়ে বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করেন আসগর আফগান। টাইগারদের হাতে বারবার ক্যাচ দিয়েও জীবন পাওয়া ইবরাহিম শেষ পর্যন্ত ৮৭ রান করেন। আসগর ফেরেন ৫০ রান পূর্ণ করে।
এ দুজন ফেরার পর আফসার জাজাই ও রশিদ খান দলের হাল ধরে দুশো ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দেন। রশিদ খান ফিরে গেলেও আফসার ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে দিন পার করেছেন। আজ আহমেদজাইকে নিয়ে চতুর্থদিন শুরু করবেন তিনি। শুরুর পর দিনের শেষ উইকেট নিয়ে সাকিবের সংগ্রহ ৩টি উইকেট। তাইজুল ও নাঈম ২টি করে এবং মিরাজ একটি উইকেট শিকার করেছেন।
তৃতীয়দিন বল যেভাবে টার্ন করেছে, চতুর্থদিন তার চেয়ে আরও ১.৫ ডিগ্রি বেশি টার্ন করবে এমন সম্ভাবনা দেখিয়েছে প্রযুক্তি। আজ দিনের শুরুতে দুই উইকেট হারালেও কোন বিপদে পড়বে না সফরকারীরা। কিন্তু স্বাগতিকদের কপালে এখনই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। রশিদ খান, কায়েস আহমেদ, জহির খান ও মোহাম্মদ নবিদের ঘূর্ণি সামাল দিয়ে প্রায় ৪’শ ছোঁয়া রান স্পর্শ করা প্রায় অসম্ভব। সম্পাদনা : শিউলী আক্তার