ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের জামিনের শুনানিতে আদালতে তিরস্কৃত দিল্লি পুলিশ আদালত বলেন, জামা মসজিদ কি পাকিস্তানে? আর হলেই বা কি, সেখানেও বিক্ষোভ দেখানো যায়
আনন্দবাজার : ২] আদালত জানিয়েছে, বিক্ষোভ দেখানো দেশের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আজাদ বিনা অনুমতিতে জামা মসজিদে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ দিল্লি পুলিশের। কিন্তু এ দিন আদালত বলে, জামা মসজিদ কি পাকিস্তানে? আর হলেই বা কি, সেখানেও বিক্ষোভ দেখানো যায়।
৩] সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে জামা মসজিদে প্রতিবাদ মিছিল করা এবং হিংসায় মদত দেয়ার অভিযোগে প্রায় এক মাস ধরে জেলবন্দি চন্দ্রশেখর আজাদ। মঙ্গলবার দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে তার জামিনের শুনানি চলছিলো। সেখানে আজাদের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ তোলেন সরকারি আইনজীবী। জামা মসজিদে ধর্না নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আজাদের একাধিক পোস্ট তুলে ধরেন তিনি। আজাদই হিংসায় মদত দিয়েছিলেন বলে অভিযোগও তোলেন।
৪] কিন্তু তার মন্তব্য ধর্তব্যের মধ্যে আনেননি বিচারক কামিনী লউ। তিনি বলেন, ‘ধর্নায় বসার মধ্যে ভুল কী আছে? প্রতিবাদই বা ভুল হতে যাবে কেন? প্রতিবাদ করা, ধর্নায় বসা এ সব নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে।’ আজাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে হিংসায় উস্কানি দেয়ার মতো কিছু বা অসাংবিধানিক কোনও বার্তা ছিলো না বলেও সাফ জানিয়ে দেন বিচারক।