কানাডার ‘বেগম পাড়া’ বাংলাদেশিদের কাছে কল্পিত উল্টো ধারণা
মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে : উর্দু ‘বেগমপুরা’ থেকে ‘বেগম পাড়া’ শব্দদ্বয়ের উৎপত্তি, যা আক্ষরিকভাবে বৃহত্তর টরন্টোর, বিশেষত মিসিসগা সিটির ‘কলোনী অব ওয়াইভস’ বা দক্ষিণ এশিয়ার সুনির্দিষ্টভাবে পাকিস্তানের কয়েক হাজার স্ত্রীদের উপনিবেশকে বোঝায়, যাদের স্বামীরা সন্তান-পরিজন রেখে মধ্যপ্রাচ্যে পেশাগত কারণে নিয়োজিত। যদিও তারা একত্রে এসেছিলেন, কিন্তু পুরুষেরা উপযুক্ত চাকরি না পেয়ে পারস্য উপসাগরের দেশে চলে গেছেন। আবার অন্যরা আগে থেকেই সেখানে ছিলেন, শুধুমাত্র অভিবাসন প্রক্রিয়ায় উন্নততর ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় পরিবারকে কানাডায় পাঠিয়েছেন। অথচ এই নারীরা একাকীত্ব, একক অভিভাবকত্ব, দূরের বৈবাহিক জীবন, স্বামীর প্রতারণা, নতুন সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক জটিলতায় নিরন্তর জীবনসংগ্রাম করে চলেছেন। ঐ পটভূমিতে রশ্মি লাম্বা পরিচালিত ও প্রযোজিত ‘বেগমপুরা : দ্য ওয়াইভস কলোনী’ চলচ্চিত্রটি অমনি টেলিভিশনে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে সম্প্রচারিত হয়, যা ২০১১ সালের ২৮ মে টরন্টো স্টার পত্রিকায় রাভিনা উলাখ রচিত ‘কলোনী অব ওয়াইভস থ্রাইভস ইন মিসিসগা’ নামক নিবন্ধে প্রকাশ পায়। ঐ নিবন্ধটাই সে সময় টরন্টোয় বসবাসরত বাংলাদেশি সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর ভাষান্তরে ‘বাংলাদেশের স্ত্রীরা’ প্রক্ষেপণে প্রকাশ করেন, যা সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অর্থপাচারের সংবাদে ওঠে এলে এক কথপোকথনে এই প্রতিনিধির কাছে স্বীকার করেন। ধারণা করা হয়, সেই থেকে কানাডায় বাংলাদেশি কালো টাকা পাচারকারীদের স্ত্রীদের ক্ষেত্রে ‘বেগম পাড়া’ বিষয়টির প্রচলন ঘটে, বাস্তবে যা কল্পিত উল্টো ধারণা বৈকি!