সেন্টমার্টিনে পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও সমুদ্রের পানি সুপেয় করতে প্ল্যান্ট বসানোর দাবি
লাইজুল ইসলাম : ২] সমুদ্রের মধ্যে বাংলাদেশের একমাত্র শৈবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এখানে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লক্ষাধিক পর্যটক বেড়াতে যান। পর্যটকদের জন্য এই দ্বীপে রয়েছে একশর বেশি হোটেল ও মোটেল।
৩] প্রত্যেকটি হোটেল ও মোটেলের রয়েছে নিজস্ব পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় ভাবে কোনো পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। মাঝে মধ্যেই হোটেলগুলো সেপটিক ট্যাংকি ভরে যায়। সেসময় সেখান থেকে বর্জ্য তুলে সেন্টমার্টিনের গহীনে নিয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়। কিন্তু এতে ধীরে ধীরে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে মনে করেন হোটেল ও মোটেল ব্যবসায়ীরা। ৪] তারা বলেন, সেন্টমার্টিনে কেন্দ্রীয় পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকা জরুরি। এতে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ আরো ভালো থাকবে। সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে ববস্থা গ্রহণ করলেও ব্যবসায়ীরাও সাহায্য করবে। ৫] সেন্টমার্টিনের তলদেশের পানির স্তর ধীরে ধীরে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। সমুদ্রের পানি ব্যবহারের জন্য একটি প্ল্যান্ট বসানোর দাবি করেন তারা। মাটির নিচের পানি এক সময় শেষ হয়ে যাবে। তখন সেন্টমার্টিনের পরিবেশ নষ্ট হবে।
৬] জানা গেছে, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যটন এরিয়া নিয়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছে। এতে সেন্টমার্টিন নিয়ে বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। মাস্টারপ্ল্যান করার সময় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান