ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী
বাংলাট্রিবিউন : ২] স্বাস্থসেবা, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি ও দ্রুতগতির ইন্টারনেটসহ নানা নাগরিক সুবিধা এখন উপভোগ করছে দ্বীপবাসী। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীকে ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপরই বদলে যেতে থাকে মহেশখালী।
৩] মহেশখালীকে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসার কারণে এর সুফল ভোগ করছে দ্বীপের মানুষ। তথ্য প্রযুক্তির সেবা গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার পাইলট প্রকল্প হিসেবে মহেশখালী দ্বীপকেই বেছে নিয়েছে।
৪] মহেশখালী আদিনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিয়া, ইশান দে অন্তু, জয়ন্ত দে-সহ একাধিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। এরা সবাই একই শ্রেণিতে মাল্টিমিডিয়া স্কুলে পড়ে। প্রতিদিন সকাল ৯ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তাদের ক্লাস নেন ঢাকার অভিজ্ঞ শিক্ষকরা। দূরশিক্ষণের মাধ্যমে তারা নিজ বিদ্যালয়ে বসেই ইংরেজি, গণিত, বাংলা পাঠ নিচ্ছে। জাগো ফাউন্ডেশনের জাগো ডিজিটাল স্কুলের শিক্ষক ফারিহা আহমদ ঢাকায় বসেই সরাসরি তাসনিয়াদের ইংরেজি পড়াচ্ছেন।
৫] দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ঘোরকঘাটার বাসিন্দা জাহানারা বেগম। চর্ম রোগের চিকিৎসা নিতে এসেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
চর্মরোগের চিকিৎসাটি জটিল হওয়ায় আনোয়ারা বেগমকে কক্সবাজার কিংবা চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শিব শেখর ভট্টাচার্য্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে জাহানারা বেগমের চর্ম রোগের ব্যবস্থাপত্র দেন। জাহানারা বেগম দ্বীপে থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে পারছেন। তিনি বলেন, মহেশখালীতে বসেই চিকিৎসা করাতে পারছি। এতে সময় এবং অর্থ দুটোই বেঁচে গেলো। সাদেক আলী