বর্তমানে দেশের মাঠে চলমান কৃষি যন্ত্রের আয়ুষ্কাল ও দক্ষতা সন্তোষজনক নয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব যন্ত্র অদক্ষ চালক ও মেকানিক দিয়ে চালানো হয়। প্রয়োজনীয় যান্ত্রিকীরণের সাফল্য অনেকাংশেই মেকানিক, চালক, ডিলার এবং ওয়ার্কশপ হেল্পারদের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে
মতিনুজ্জামান মিটু : ২] এ সমস্যা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় শেষ হয়েছে সরকারের ৩৩৯ কোটি ৪৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। ৩] দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৫১টি জেলার ২১৭টি উপজেলায় বাস্তবায়ন হয় ‘খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প’ ২য় পর্যায়ের কাজ। ২০১৩ সালে শুরু ও ২০১৯ সালের জুন মাসে শেষ হয় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ। প্রকল্পটি প্রথমে দেশের ২৫টি জেলায় পরে প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ৩৫টি জেলায় বাস্তবায়িত হয়। ৪] এ প্রকল্পের মাধ্যমেই সর্বপ্রথম দেশে কৃষি যন্ত্রপাতির বিপরীতে শতকরা ২৫ ভাগ হারে ভর্তুকি দেয়া শুরু করে ৩৮,৩৩৮টি যন্ত্রের অনকূলে ভর্তুকি দেয়া হয়। নতুন ধারার এ কার্যক্রমে কৃষকরা তাদের পছন্দের যন্ত্র স্থানীয় বাজার থেকে কিনতে পারেন। এতে প্রকল্প এলাকায় গুণগত মানসম্পন্ন যন্ত্র সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী