আগুনে পুড়লো বনানী টিএন্ডটি কলোনি বস্তির দুই শতাধিক ঘর কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি জানতে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
সুজন কৈরী : ২] শুক্রবার গভীর রাতে লাগা আগুন প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ২২টি ইউনিট। তবে পানিস্বল্পতা আর সরু রাস্তার কারণে উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হয়েছে তাদের। গাড়িগুলোও ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারেনি।
৩] প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে হঠাৎ করেই প্রথমে ধোয়া দেখা যায়। এরপর দাউ দাউ করে জ্বলা আগুন মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে পুরো বস্তি এলাকায়। আগুনের লেলিহান শিখা কেড়ে নিয়েছে স্বল্প আয়ের বস্তিবাসীদের সর্বস্ব। জালিয়ে দিয়েছে তাদের স্বপ্ন। ভোরের আলো ফুটার সঙ্গে সঙ্গেই আগুনে ছাই হওয়া আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসস্তূপে ধূমায়িত হাহাকার নিয়ে শেষ সম্বল খুঁজতে দেখা যায় বস্তিবাসীদের।
৪] ক্ষতিগ্রস্ত বস্তির বাসিন্দা মালেক বলেন, কিছুই নাই। সব কয়লা হয়ে গেছে। বস্তির আরেকজন বাসিন্দা বলেন, পাশে একটা গোডাউন ছিল। চার লাখ টাকা ক্যাশ ছিল। আগুন আমার সব শেষ করে দিয়েছে। অপর একজন নারী জানান, তার একটা দোকান ছিল। তার আয় দিয়েই চার সন্তানের লেখাপড়া চলতো। কিন্তু একটি আগুন সেই সবই শেষ করে দিয়েছে।
৫] কোনো সহায়তা শনিবার দুপুর পর্যন্ত পায়নি বস্তিবাসীরা উল্লেখ করে আহাজারি করছেন।
৬] ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, রাত ৩ টা ২০ মিনিটে আগুন লাগে। ৩ টা ২৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আরো ৭ মিনিট পর পৌঁছায়।
৭] ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, গ্যাস লিকেজ বা শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অ্যাম্বুলেন্স) নূর হাসানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা অগ্নিকান্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করবেন।