দুর্বল ব্যাংক অবসায়ন ও একীভূতকরণের বিধান রেখে সংশোধন হচ্ছে ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন’। নির্ধারিত হয়েছে স্বেচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি সংজ্ঞা
সোহেল রহমান : ২] দুর্বল ব্যাংককে জনস্বার্থে অবসায়ন ও একীভূতকরণ করা এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে ব্যাংক থেকে অপসারিত ব্যক্তির ব্যক্তিগত হিসাব অবরুদ্ধ, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও ক্ষেত্রমত বাজেয়াপ্ত করার বিধান রেখে ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১’ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই সংশোধনীর একটি খসড়া তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে মতামতের জন্য পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি নীতি বিভাগ’।
৩] আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দুর্বল ব্যাংক-কোম্পানীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের আওতায় এর পুনর্গঠন, একত্রিকরণ, অধিগ্রহণ ও অবসায়ন এর বিষয়ে বিদ্যমান আইনের ৫ম ও ৬ষ্ঠ অধ্যায়কে একত্রে নতুনভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। দুবর্ল ব্যাংক-কোম্পানিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার অধীনে প্রথমে উক্ত ব্যাংককে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিতকরণের বিধান এবং পরে ক্রমান্বয়ে তাদের বিষয়ে দ্রুত পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণ এবং সবশেষে অবসায়নের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৪] সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৫৮ক এর (১)-এ বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যাংক মনে করে যে, তার তারল্য, সম্পদের গুণগত মান ও মূলধন পরিস্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হারে ও পন্থায় তারল্য, সম্পদ ও মূলধন সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না এবং পাশাপাশি এর অবস্থা দিন দিন আরো খারাপ হবে তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবে।