আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ১
বইমেলায় ভিড় থাকলেও বিক্রি কম হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশকদের
বিশ্বজিৎ দত্ত : ২] ঘাড় গুঁজে বই মেলাতেও মোবাইলে মগ্ন পাঠকরা। প্রকাশক রবীন আহসান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া, মোবাইল ফোনই আমাদের পাঠাভ্যাস ধ্বংসের জন্যে দায়ী। তবে গবেষণা বলছে অন্য কথা। ১৯৯১-তে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার অধ্যাপক মিচেল স্টিফেন্?স একটি প্রবন্ধ লেখেন ‘লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস’ ম্যাগাজিনে ‘দ্য ডেথ অব রিডিং’ শিরোনামে। টিভি এবং অন্যান্য বিনোদন কিভাবে আমাদের পড়ার অভ্যাসে ফাটল ধরিয়েছে, তারই বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন স্টিফেন্?স। বেশ কিছুদিন ভালো চলার পরে ব্রিটেন বা আমেরিকার মতো দেশে ই-বুকের বিক্রি কমেছে গত কয়েক বছরে। ই-বই আর ছাপানো বইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযাত্রী।
৩] বই অবশ্য এখনও বিক্রি হয়। বইপাড়ায়, বুকস্টোরে, অনলাইনে, বইমেলায়, ঢাকায়, কলকাতায়, দিল্লীতে, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও লন্ডনে। গত বছর ঢাকার বই মেলায় বই বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৭০ কোটি টাকার। কিন্তু বই ‘কেনা’ মানেই কি ‘পড়া’? স্টিফেন হকিং-এর ১৯৮৮ সালের বই ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ গোটা পৃথিবী জুড়ে হয়েছে ‘নাম্বার ওয়ান বেস্টসেলার’। ৩৫টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বিক্রি হয়েছে এক কোটির বেশি কপি। আবার এই বইটিকেই বলা হয় ‘সর্ব কালের সবচেয়ে না-পড়া বই’।
৪] তা-ই হয়তো পাঠকেরা গড়ে কতোটা অংশ পড়ে একটা বই পড়া ছেড়ে দেন তা মাপতে ২০১৪-য় যে মজার গাণিতিক পদ্ধতির প্রবর্তন করেন মার্কিন গণিতবিদ জর্ডন এলেনবার্গ, তার নাম ‘হকিং সূচক’ দিতে দ্বিধা করেননি। ‘ব্রিফ হিস্ট্রি’-র হকিং সূচক ৬.৬%। অর্থাৎ পাঠকেরা গড়ে পড়েছেন বইটির মাত্র পনেরো ভাগের এক ভাগ। এর চেয়েও খারাপ অবস্থা হিলারি ক্লিন্টনের ‘হার্ড চয়েসেস’ (হকিং সূচক ১.৯%) কিংবা টমাস পিকেটির ‘ক্যাপিটাল ইন দ্য টোয়ান্টি-ফার্স্ট সেঞ্চুরি’র (হকিং সূচক ২.৪%)।
৪] বুদ্ধদেব বসুর গল্পে দেখি ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ হঠাৎ ধনী-হয়ে-ওঠা লোকজনের বাড়ির সৌন্দর্য-বৃদ্ধির আসবাব মাত্র। বইমেলার বিক্রির হিসেবটা তাই প্রকাশকের পক্ষে গুরু
আমি তোমাদের মাথায় তুলে অভিনন্দন জানাচ্ছি, বিশ্বকাপজয়ী যুবদলকে ড. ইউনূস
আক্তারুজ্জামান : ২] প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে শিরোপা জেতায় বাংলাদেশ বন্দনায় মেতেছে ক্রিকেটবিশ্ব। বাদ যাননি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩] বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, ‘অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অসাধারণ নৈপূণ্যের জন্য আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক বিজয়। একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি এজন্য গর্ব অনুভব করছি এবং প্রত্যাশা করছি যে, আমাদের তরুণ ক্রিকেটাররা আগামী দিনগুলোতে ক্রমাগতভাবে আরো বহু গৌরব আমাদের জন্য বয়ে নিয়ে আসবে। আমি তোমাদেরকে মাথায় তুলে অভিনন্দন জানাচ্ছি। সাবাস বাংলাদেশ।