বেড়েছে মশার উপদ্রব, ডেঙ্গু আতঙ্কে রাজধানীবাসী
অর্থনীতি ডেস্ক : ২] শীত কমার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। নগরবাসীর মনে ফিরে এসেছে ডেঙ্গু ভীতি। এডিস মশাবাহিত এ রোগ যে এখন সারাবছরের সমস্যা হয়ে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে, সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এবারের শীতেই তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিডিনিউজ, দেশরূপান্তর ৩] আগে ডিসেম্বর-জানুয়ারি সময়ে ডেঙ্গু হওয়ার ঘটনা ছিলো কম। এবার জানুয়ারি মাসে নগরীতে এডিস মশার উপস্থিতি যেমন বেশি পাওয়া গেছে, ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গতবারের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি রোগী। ৪] ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মশাও বাড়ছে। দিনের বেলা কোনোমতে পার হলেও সন্ধ্যার আগে থেকে শুরু হয় মশার উপদ্রব। সিটি কর্পোরেশন মশক নিয়ন্ত্রণে নানা কার্যক্রম চালানোর কথা বললেও নগরবাসীর অভিযোগ, নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অপ্রতুল। ৫] শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ‘ডেঙ্গু সার্ভিলেন্স অ্যান্ড প্রেডিকশন প্রোজেক্ট’ এর আওতায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মশার উপস্থিতি নিয়ে গবেষণা করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা শাখা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাকে ছয়টি অঞ্চলে ভাগ করে জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে মশার উপস্থিতি দেখা হচ্ছে। এ জরিপ চলবে আগামী দুই বছর। জরিপ জানাচ্ছে, জানুয়ারি মাসেও রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ। ৬] ফলাফল অনুযায়ী, জানুয়ারিতে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরীবাগ ও শাহবাগ এলাকায় মশার ব্রুটো ইনডেক্স ছিলো ২৬ দশমিক ৬৭। লালমাটিয়া-মোহাম্মদপুরে ১০, গুলশান বনানীতে শূন্য, বাসাবো-খিলগাঁওয়ে ১৩ দশমিক ৩৩, শাঁখারীবাজার ও পাটুয়াটুলীতে ১৩ দশমিক ৩৩। ফেব্রুয়ারিতে গুলশান-বনানী এবং লালমাটিয়া-মোহাম্মদপুর অঞ্চলের তথ্য নেয়া হয়েছে। গুলশানে ব্রুটো ইনডেক্স ২০।
লালমাটিয়ায় ৬ দশমিক ৬৭।
৭] জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘জানুয়ারিতে মশার এতোটা উপস্থিতি ভালো কথা নয়। জানুয়ারিতে ব্রুটো ইনডেক্স পাঁচের নিচে থাকার কথা। এ সময় এটা হলে সামনের পরিস্থিতি অনুমেয়।’