[১]চীনে করোনার কারণে দেশের গার্মেন্ট সরবরাহ লাইনে সমস্যা হয়েছে, তবে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি
বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] করোনা ভ্ইারাসের কারণে বাংলাদেশের গার্মেন্টখাতের সরবরাহ লাইনে সমস্যা হলেও সার্বিক রপ্তানিতে কোন প্রভাব পড়েনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত সোমবার অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনার পর এ মন্তব্য করেন মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস।
[৩] বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনÑঅর্থ, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও একাধিক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
[৪] বৈঠকের পর ড. কায়কাউস বলেন, করোনাভাইরাস একটি গ্লোবাল সমস্যা। আমাদের জন্য চিন্তার কারণ চীন থেকে আমরা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করি। গার্মেন্ট যন্ত্রাংশ ও ডায়িং চীন থেকে আমদানি হয়। চীনের এই পরিস্থিতিতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে এই বৈঠকে কিছু পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এগুলো হলোÑস্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী। স্বল্পমেয়াদী সময়ে করোনায় আমাদের অর্থনীতিতে তেমন ক্ষতি হবে না। মধ্য মেয়াদী পরিকল্পনায় রয়েছে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে চীনের করোনা মুক্ত এলাকায় বাণিজ্য। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় রয়েছে বিকল্প বাজার।
[৫] তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন ভাল। দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতিরি উন্নতি হচ্ছে। বিশেষ করে মেগাপ্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন হলে আমাদের জিডিপির হার আরো বাড়বে।
[৬] বাণিজ্য সচিব বলেন, চীনের নতুন বছর শুরুর আগেই আমাদের আমদানিকারকরা প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে রেখেছিল। এ কারণে যন্ত্রাংশ ও নিত্য পণ্যের দেশে যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। এর বাইরে আমরা ভারত, মায়ানমার থেকে আদা, রশুন পেঁয়াজ আমদানি করে রেখেছি। সম্পাদনা : রেজাউল