[১]সিনক্রোনাইজ ফার্মিং পদ্ধতিতে এগিয়ে যাবে দেশের আগামী দিনের কৃষি
মতিনুজ্জামান মিটু : [২] এমন ধারণা থেকেই কৃষিবিদ কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক উদ্ভাবিত এ পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এর সাফল্যে বিস্তৃত হবে এই পদ্ধতির ব্যাপক চর্চা। [৩] উন্নত বিশ্বে অনেক আগে থেকে শুরু হলেও জমির আইলের আধিক্যসহ নানা সীমাবদ্ধতায় দেশে এ পদ্ধতির চাষাবাদ হয়নি। ক্রমহ্রাসমান কৃষি জমি ও শ্রমিক সংকটের এই সময়ে বাড়তি মানুষের খাদ্য চাহিদা মোকাবেলার তাগিদ থেকে শুরু হয়েছে পদ্ধতিটির চর্চা। [৪] কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. মেহেদি মাসুদ বললেন, কৃষিকে এগিয়ে নিতে যান্ত্রিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু আইলের কারণে ক্রমাগত ছোট হয়ে যাওয়া খন্ড খন্ড জমিতে যন্ত্রকে সঠিক ও স্বাচ্ছন্দে কাজে লাগানো যাচ্ছেনা। ব্যাহত হচ্ছে যান্ত্রিকীকরণ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কৃষিমন্ত্রী উদ্ভাবন করেন সমলয় বা সিনক্রোনাইজ ফার্মিং। [৫] একই মাঠে অপেক্ষাকৃত বড় জায়গা নিয়ে একইসঙ্গে যন্ত্রের মাধ্যমে, একই জাতের ধান বা অন্যান্য ফসল লাগানো এবং কাটার পদ্ধতির নাম সমলয় বা সিনক্রোনাইজ ফার্মিং। এ ক্ষেত্রে এক সঙ্গে ৭০ থেকে ৮০ একর জমি নিয়ে এই পদ্ধতিতে চাষ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। সমকালীন এই সময়ের উচ্চমুল্যের ফসল চাষে পদ্ধতিটি বিশেষ কার্যকর। [৬] বাজার ও চাহিদার ভিত্তিতে কৃষকরা যাতে আর্থিকভাবে লাভবান হন মৌসুম অনুযায়ী ফসল চাষে পদ্ধতিটি ভালো ফল দেবে। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি, যশোর, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, রংপুরসহ প্রত্যেক জেলা উপজেলায় এই ধারণা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জসহ হাওড়ে গত বছর থেকে এই পদ্ধতির চাষাবাদ শুরু হয়েছে। [৭] গ্রুপ এপ্রোচ-এর ভিত্তিতে এ পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে। এ লক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের এক সঙ্গে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এই পদ্ধতির জমিতে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় বীজ সরবরাহ করছে। এখন ধান দিয়ে শুরু হলেও পরে আম ও পেয়ারাসহ অন্যান্য ফসলও এই পদ্ধতির আওতায় আসবে। পদ্ধতিটি ব্যবহারে কৃষি শ্রমিক শতকরা ৮০ ভাগ কমবে, বাড়বে কৃষকের আয়। পদ্ধতিটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নে নিয়মিত জোরালো মনিটরিং দরকার। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব