[১]এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশকে পোশাক রাপ্তানির ওপরেই নির্ভর করতে হবে, বললেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
সাইদ রিপন : [২] বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত টিপার ফারেন হোলজ দেশের কয়েকটি খাতের পরিস্থিতি উন্নয়ন করতে হবে জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার রক্ষা করা জরুরি। রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে আরও টেকসই করার জন্য সুশাসন বিশেষ করে আইনের শাসন এবং সরকারি অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতার ওপর অত্যাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। [৩] সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশ জার্মান কনসালটেশন অন ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন’ শীর্ষক আলোচনার সভায় এ কথা বলেন রাষ্ট্রদূত। বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহন্ত এবং জার্মান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জার্মানির অর্থ ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দক্ষিন এশীয় বিভাগের প্রধান ড. উটে হিনবাক। [৪] জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। সম্পাদনা : রেজাউল
বাংলাদেশের এই সুবিধা পাওয়ার খুব ভাল সম্ভাবনা রয়েছে।
[৫] তিনি বলেন, আমি মনে করি কেউ সমালোচনা না করার মতো নির্বাচন করার সক্ষমতা বাংলাদেশ সরকারের আছে। বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে এতো সব সমালোচনার মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভবিষ্যতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করবে।
[৬] দেশের উন্নয়ন কর্মকা-ে দুর্নীতির বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। এই দুর্নীতি শুধু দেশের উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্থ করবে না, একইসঙ্গে ভবিষ্যতে দেশে বিনিয়োগও ক্ষতিগ্রস্থ করবে। এর আগে গত ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি জার্মানির অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ড. জার্ড মুলার বাংলাদেশ সফরের সময় পরিস্কার করে বলেছেন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জার্মান সরকার বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের পাশে থাকবে।