[১]দেশে মজুদ রয়েছে ৩ মাসের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল
মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিভিন্ন খাতে পড়তে শুরু করেছে। এর ফলে বেশ কিছু পণ্যে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে চীন থেকে বাংলাদেশে আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের বাজারে কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। [৩] জানা যায়, প্রতি বছর বাংলাদেশের মোট আমদানির ৩৪ শতাংশ আসে চীন থেকে। তবে ওষুধ তৈরি কাঁচামালে দুই তিন মাসে কোনো সমস্যা হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
[৪] বিএপিআই সেক্রেটারি জেনারেল এম শফিউজ্জামান বলেন, মজুদের হালনাগাদ নিয়ে আমরা কাজ করছি। শীর্ষ ৩০টি কোম্পানির কাছ থেকে কিছু ফিডব্যাক পেয়েছি। এখন পর্যন্ত ৩-৪ মাসের কাঁচামাল মজুদ রয়েছে। মজুতকৃত কাঁচামাল দিয়ে সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত পণ্য তৈরি করা যেতে পারে। [৫] তিনি বলেন, ওষুধের ওপর নির্ভর কাঁচামালের চাহিদারও তারতম্য ঘটে। সামগ্রিক দিক বিবেচনায় যে পণ্যটি যে পরিমাণ বাজারে সরবরাহ হয়। এর মধ্যে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেও চীন থেকে কাঁচামাল আমদানি করা যাবে বলে আশা করছি। কারণ কাঁচামাল আমদানিতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে নতুন বছরের ছুটির পর এখনো কাঁচামাল সরবরাহ শুরু হয়নি চীন থেকে। [৬] দেশে ওষুধ শিল্পের প্রভূত উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটলেও এর কাঁচামাল অদ্যাবধি প্রস্তুত হয় না। ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত ৪১ রকমের কাঁচামালের মধ্যে মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ উৎপাদন করে দেশীয় ৮টি কোম্পানি। এর বাইরে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে কাঁচামাল আমদানিতে। [৭] এ বিশাল অংকের কাঁচামাল আমদানি করেও দেশের ওষুধ শিল্প অনেক এগিয়েছে।
বর্তমানে চাহিদার ৯৭ শতাংশ ওষুধ বাংলাদেশ নিজেই উৎপাদন করতে সক্ষম। দেশের ওষুধ ১৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।