[১]জেনেটিক কপি ছাড়াই করোনা শনাক্তের নতুন পদ্ধতি সরকার অনুমোদন দিয়েছে নতুন এ কিট উৎপাদনের
বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] কোভিড-১৯ শনাক্তের নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিকরা। এই পদ্ধতিতে করোনার জেনেটিক কপির দরকার নেই বলে দাবি করা হচ্ছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লা চৌধুরী বলেছেন, ১৫টি উপাদান আমদানি করতে হবে।
[৩] গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র গতকাল করোনা শনাক্তের কিট উৎপাদনের সরকারি অনুমতি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, ওই কিট দিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত সম্ভব। খরচ হবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।
[৪] আগামী সোমবার যুক্তরাজ্য থেকে বিমানে করে উপাদানগুলো আনা হবে। ডা. জাফরুল্লা আরও জানান, এগুলোর ট্যাক্স ও ভ্যাট মওকুফ করা হয়নি। তিনি আশা করেন, বরাবরের মতো যা হয়, আসার পর মওকুফ হয়। কাঁচামাল হাতে পেলেই আমরা উৎপাদনে যাবো।
[৫] গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকরা জানান, করোনা শনাক্তে ৫টি পদ্ধতি রয়েছে। সোয়াব টেস্ট যা হলো লম্বা টিউবে তুলা পেচিয়ে রোগীর গলা থেকে লালা সংগ্রহ করা হয়। যারা বেশি সর্দিতে আক্রান্ত তাদের নাজাল আসপিরিয়েট করা হয়। স্পুটাম টেস্ট ফুসফুস মারাত্মক সংক্রমিত হলে প্রচুর মিউকাস বের হয় এগুলোকে স্পুটাম বলে। রক্ত পরীক্ষা ও ট্রকিয়াল আসপেরিয়েট। তবে যেভাবেই নমুনা সংগ্রহ করা হোক না কেন ল্যাবরেটরিতে আরটিপিসিআর (রিয়েল টাইম পলিমারিজ চেন রিএ্যাকশন) করানো হয়। এ জন্য নির্দিষ্ট যন্ত্র রয়েছে। সে যন্ত্রে ভাইরাসের জেনেটিক কপি রয়েছে। রোগীর নমুনার সঙ্গে জেনেটিক কপির মিল হলেই বলা যাবে রোগীর কোভিড-১৯ হয়েছে।
[৬] গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পদ্ধতিটি ভিন্ন। আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে তাদের উদ্ভবিত কিটে ভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। এর জন্য স্পুটাম নেয়ার প্রয়োজন নেই। প্রথমে সন্দেহজনক ব্যক্তির রক্তের নমুনা নিয়ে ‘সিরাম’ আলাদা করতে হবে। কিটে সেই সিরাম রেখে তার ওপর এন্টিজেনের বিক্রিয়া ঘটানো হবে। যদি বিক্রিয়া হয় তাহলে সন্দেহজনক ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের প্রাথমিক উপস্থিতি রয়েছে বলে প্রমাণ হবে।