[১]শহর এলাকায় ব্যাপকভাবে ‘ওএমএস’ চালুর চিন্তা-ভাবনা, ১০ টাকা কেজি চাল দেয়া হতে পারে
সোহেল রহমান : [২] করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর এলাকায় বসবাসরত গরীব প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য আপদকালীন সহায়তা হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। [৩] একটি পরিবার সপ্তাহে সর্ব্বোচ্চ ৫ কেজি চাল পাবে। [৪] বিষয়টি নিয়ে একটি কর্মকৌশল প্রণয়ন করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
[৫] বর্তমানে গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শহর এলাকায় সীমিত সময়ের জন্য একই ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
[৬] জানা যায়, সরকারের গোডাউনে বর্তমানে ১৭ লাখ টন চাল মজুদ রয়েছে। [৭] অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক খাতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। শহর এলাকায় বাণিজ্যিক কর্মকান্ড অনেক কমে গেছে।
[৮] সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে স্বল্প আয়ের দরিদ্র মানুষ। এদের কেউ ফুটপাতে পণ্য বিক্রি করে, কেউ দিন মজুর, কেউবা রিকশা চালায়। এদের অধিকাংশের বসবাস আবার বস্তি এলাকায়। [৯] করোনার কারণে এসব মানুষ কিছুদিনের মধ্যে বেকার হয়ে পড়তে পারে। এছাড়া অনেকেরই আয় কমে যাবে। এই সব মানুষকে সহায়তার জন্য ম্যাসিভ আকারে ওএমএস চালু করা হতে পারে।
[১০] অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যখাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকুলে ২৫০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও টাকা দিতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে। সম্পাদনা : রেজাউল