[১]টেকসই সামাজিক বনায়ন উন্নয়ন প্রকল্প সংশোধন করে রংপুরে বনভূমির পরিমাণ বাড়াতে চাইছে মন্ত্রণালয়
সাইদ রিপন : [২] পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু রংপুর বিভাগে বনভূমির পরিমাণ মাত্র শূণ্য দশমিক ৩০ শতাংশ। এজন্য পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এ অঞ্চলে বনায়ন বাড়াতে জানুয়ারি ২০১৭ সাল থেকে জুন ২০২০ সালে ‘বৃহত্তর রংপুর জেলায় টেকসই সামাজিক বনায়ন উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে বন অধিদপ্তর। [৩] বর্তমানে আরও কিছু কাজ বৃদ্ধি পাওয়ায় এক বছর মেয়াদ ও চার কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় বাড়াতে পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পটি সংশোধনীর জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠিয়েছে। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিলো ১৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। [৩] পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্প কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ১৫০০ সিডলিং কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃজন, মিঠাপুকুর ও ডোমার রেঞ্জের জবরদখলকৃত সরকারি বনভূমি উদ্ধার করে ২৫০ মিটার বাগান তৈরি, মিঠাপুকুর হাতীবান্ধা ইকোপার্কে তিন হাজার রানিং জীবন্ত বেড়া বনায়ন, মিঠাপুকুর ও হাতীবান্ধা ইকোপার্কে ৬ হাজার ৪৭৫ রানিং মিটার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, স্ট্রিপ ও ব্লক বাগানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৫ হাজার ২০০ জন উপকারভোগী সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সরকারি বনভূমির সীমানা বিরোধ নিরসনকল্পে ৫০০টি স্থায়ী সীমানা পিলার নির্মাণ। [৪] এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম-প্রধান মো. শাহজাহান তার সুপারিশে বলেছেন, মেয়াদ বৃদ্ধি বিবেচনা করা না হলে প্রকল্প সংশোধনের প্রয়োজন হবে না। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব
প্রকল্প নির্মাণখাতে ইকোপার্ক ও বিভিন্ন অফিসের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের জন্য মূল ডিপিপিতে ৬ হাজার ৪৭৫ রানিং মিটারের জন্য ৫৭৩ লাখ টাকার সংস্থান রয়েছে। ডিপিপি সংশোধনের কারণ হিসেবে পিডাব্লিউডির হালনাগাদ রেট সিডিউল অনুসারে ৩১৭৬ রানিং মিটারের জন্য ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার সংস্থান রেখে প্রকল্প সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। যা অনুমোদিত সংস্থানের তুলনায় কম।