[১]মধ্যরাতে সাংবাদিক আরিফকে দেয়া সাজা হাইকোর্টে স্থগিত ডিসিসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা গ্রহণের নির্দেশ
নূর মোহাম্মদ : [২] সোমবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চ সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। একইসঙ্গে আরিফুল ইসলাম রিগানকে সাজা দেয়ার পুরো প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। [৩] এর আগে সাজার ঘটনায় জনস্বার্থে আবেদন করা হলেও তা পরিবর্তন করে ভুক্তভোগী আরিফকে আবেদনকারী করতে বলেন আদালত। গতকাল শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বাড়ি থেকে ধরে তুলে নিয়ে সাজা দেয়া আইনসম্মত নয়। এছাড়া দুইজন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্যে একই বক্তব্য দিয়েছেন। আবার মদ ও গাঁজা একসঙ্গে খাওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঠিকানাও টেম্পারিং করা হয়েছে। মদ খাওয়ার অপরাধে সাজা দিলেও গাঁজার অপরাধে সাজা দেননি। তাহলে গাঁজা কোথায় গেলো। [৪] আরিফের পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান সাজা প্রদান সংক্রান্ত নথিপত্রের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সাজা দেয়া হয়েছে ১৩ মার্চ, অথচ সাজার কপিতে স্বাক্ষর করা হয়েছে ১৪ মার্চ। আবার সাজা দেয়ার আগেই তাকে জেলে পাঠানো হলো, এটা কিভাবে সম্ভব। ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিতে আসামির নাম এবং পিতার নাম একই লেখা হয় কিভাবে।