[১]সংকটের মুখে দেশের দুগ্ধ ও পোল্ট্রি খামারিরা
মতিনুজ্জামান মিটু : [২] করোনা পরিস্থিতিতে দুর্বল বাজার ব্যবস্থাপনায় হুমকির মুখে পড়েছে দেশের দুগ্ধ ও পোল্ট্রি খাত। মানবঘাতি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রায় ভেঙ্গে পড়ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরের বিপণন ব্যবস্থা। মানুষ প্রাণ বাঁচাতে শহর ছেড়ে গ্রামে পাড়ি জমাচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী ২-১ দিনে প্রায় শুন্য হয়ে যাবে শহরের বাজারগুলো। এমন পরিস্থিতিতে পচনশীল দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি সামগ্রী বিক্রি কিভাবে। [৩] এ নিয়ে অজানা আতংক ঘিরে ধরেছে এ খাতের উৎপাদনকারীদের। নিলফামারিসহ উত্তরাঞ্চলের দুগ্ধ খামারিরা তাদের উৎপাদিত দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ঢাকা ফাঁকা হয়ে যাওয়ার তারা দুধ বিক্রির পথ পাচ্ছেন না।
[৩] বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকার বললেন, দুধ ও পোল্ট্রি পণ্য উৎপাদনের পর খুব বেশি সময় রেখে এসব পণ্য বাজারজাত করা যায় না। এসব পণ্য প্রতিদিনই উৎপাদন হয়ে থাকে। উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে এসব পণ্য বিক্রির বাধ্যবাধকতা থেকে যায়। বিক্রির ওপরেই নির্ভর করে খামারিদের টিকে থাকা। এদের অনেকেই বিভিন্ন উৎস থেকে নেওয়া ঋণে তাদের খামার পরিচালনা করে থাকে। করোনা পরিস্থিতিতে বিক্রি করতে না পারায় তাদেরকে লোকসান গুণতে হবে।
[৪] সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। দূরপাল্লার বাস ও গণপরিবহন বন্ধ হচ্ছে। ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যদিও কাঁচাবাজার এবং পচনশীল পণ্য পরিবহনে বাধা থাকবে না। তবুও দুধ, ডিম, ব্রয়লারসহ প্রাণিজাত পণ্য বিক্রির সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। এ অনিশ্চয়তা কিভাবে মোকাবেলা করা যায় সে চিন্তা করা হচ্ছে। সম্পাদনা : রেজাউল