আমাদের বিশ্ব • আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ২
[১]প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে আট বিভাগে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল হবে, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বললেন দেশের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে
তাপসী রাবেয়া : [২] করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জানুয়ারি মাস থেকেই কাজ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সরকার। সংক্রমণ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সেবায় সুদুঢ়প্রসারী ভাবনার অংশ হিসেবে আট বিভাগে সংক্রামকব্যাধি হাসপাতাল ভবিষ্যতে করোনার মত যেকোনো ব্যাধি মোকাবেলা সহজ হবে বলে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
[৩] মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিগত ৫০ বছরে দেশে মাত্র ২০০ ভেন্টিলেটর মেশিন ছিল। দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আগেই মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২২২ টি নতুন ভেন্টিলেটর মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[৪] এই ২২২ টি ভেন্টিলেটর মেশিন ঢাকার বেশ কযেকটি হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বসানোর কাজ দ্রæত এগিয়ে চলেছে।
[ ৫] এছাড়াও পাইপলাইনে ৩৫০ টি ভেন্টিলেটর মেশিন রয়েছে যা আমদানির কার্যাদেশ দেয়াছিল এই জরুরী পরিস্থিতির আগেই। এবছরের মধ্যেই আসবে এসব মেশিন। মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে আরও দ্রæত পাওয়ার যদিও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে হঠাৎ ভেন্টিলেটরের চাহিদা বেড়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা যেভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলেতাড়াতাড়ি আনাও সহজ হচ্ছে না। তবে জোরদার চেষ্টা চলছে।
[৬] মন্ত্রী জানান, সরকারের কাছ থেকে করোনা মোকাবেলায় ঋণ এবং গ্র্যান্ট হিসেবে অতিরিক্ত কত টাকা পাওয়া যাবে এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে যে ১০০ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা তা কোন খাতে ব্যয় হবে তা বিশ্লেষণের কাজ চলছে। শিগগিরই জরুরী প্রকল্প তৈরী হবে।
[৭] দেশে এই মহুর্তে পিপিইর ঘাটতি নেই। আরও পিপিই বিতরণের জন্য মজুদ আছে। চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করা হবে। এর পরও পিপিই পাইপলাইনে আছে বলে জানান মন্ত্রী।
[৮] মন্ত্রীর ধারনা, বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো নিয়ন্ত্রনে আছে এবং সরকার যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সজাগ ও সক্রিয় রয়েছে।