[১]মজুতের জায়গা নেই বিপিসির, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চলছে আলোচনা
বাংলা ট্রিবিউন : [২] করোনা পরিস্থিতিতে দেশের শিল্প উৎপাদন থমকে যাওয়ায় জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে ৭৫ ভাগের মতো। এর ওপর আগে থেকে যেসব কোম্পানিকে তেল সরবরাহ করার ক্রয় আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তাদের থেকেও তেল নেওয়া হয়েছে। ফলে এখন আর নতুন করে তেল রাখার জায়গা নেই বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের।
[৩] বিপিসির চেয়ারম্যান শামছুর রহমান জানান, আমরা বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছি, তারা রাজি হলে তেল কিনে তাদের ট্যাংকারে মজুত করে রাখা যাবে। তিনি আরও জানান, মজুতের পুরোটাই জ্বালানি তেল ভরে রাখা হয়েছে। এখন নতুন করে তেল রাখার আর কোনও জায়গা তাদের নেই।
[৪] এ অবস্থায় দেশের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা এগিয়েছে বিপিসি। এরমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের এক লাখ টন এবং অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের ৭০ হাজার টনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা সফল হলে এক লাখ ৭০ হাজার টনের কাছাকাছি তেল কিনে রাখা যাবে। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তেল রাখার জন্য প্রতি টনে মাস প্রতি ভাড়া চাইছে ছয় ডলার করে।
[৫] যদিও এই মজুতকে খুব বেশি বলছে না বিপিসি। দেশে প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৬০ লাখ টনের মতো। ফলে এই পরিমাণ তেলের মজুত বৃদ্ধির অর্থ হচ্ছে মাত্র ১০ দিনের মজুত বৃদ্ধি করা।
[৬] বিপিসি সূত্র বলছে, প্রতি বছর ৬০ লাখ টন জ্বালানি তেল প্রয়োজন হলে প্রতিদিনের চাহিদা রয়েছে ১৬ হাজার ৫০০ টনের কাছাকাছি। এর ৭৫ ভাগ চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন প্রতিদিন জ্বালানি তেলের চাহিদা মাত্র চার হাজার ১২৫ টনে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মজুত জ্বালানি তেল শেষ হতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যাবে।
[৭] মোংলা সমুদ্রবন্দরে নির্মিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেল স্টেশন ‘মোংলা অয়েল ইনস্টলেশন’ বিশ্বে জ্বালানি তেলের বিপণন পরিস্থিতি বলছে, এখন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নেওয়ার জন্য ক্রেতাকে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। গ্রন্থনা : সিরাজুল ইসলাম।