[১]ছয় দফা প্রস্তাব জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ
বার্তা ২৪ : [৩] পুঁজিবাজারকে সচল ও গতিশীল রেখে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্রোকারেজ হাউজসহ পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখার জন্যে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ ৬ দফা প্রস্তাব জানিয়েছে ডিবিএ প্রেসিডেন্ট শরীফ আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
[৪] দাবিগুলো হচ্ছেÑব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনায় আর্থিক সহায়তা প্রদান: অফিস পরিচালন ব্যয় মিটিয়ে সকল কার্যক্রম সচল রাখতে আর্থিক সহায়তা কমপক্ষে ১ বছরের জন্য প্রদান করা। ব্রোকারদের নিজ প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট মোতাবেক প্রদেয় অর্থের পরিমাণ বরাদ্দ করা। অর্থ সহায়তা কোমল ঋণ হিসেবে ৩ শতাংশ সুদে মোট ২৪টি সমান কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। কিস্তির অর্থ ব্রোকাররা ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মাসিক ভিত্তিতে একটানা পরিশোধ করবে।
[৫] ব্রোকারদের অফিস কার্যক্রম সচল রাখতে, প্রাতিষ্ঠানিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে বিনিয়োগকারীদের মাঝে উন্নত বিনিয়োগ সেবা ও সুবিধা প্রদান করে বিনিয়োগে আগ্রহী করার লক্ষ্যে শেয়ার লেনদেনের ওপর ব্রোকারদের প্রদেয় অগ্রিম আয়কর বিদ্যমান শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে উক্ত অগ্রিম আয়কর শতাংশ দশমিক ০১৫ শতাংশ করা।
[৬] মার্জিন ঋণের আওতাধীন বিনিয়োগকারীদের পুনরায় লেনদেনে ফিরিয়ে এনে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তথা ফোর্স সেল থেকে বিনিয়োগকারীকে সুরক্ষা প্রদানসহ বাজারে লেনদেনের প্রবাহ বৃদ্ধিকল্পে নিম্নোক্ত বিবেচনায় পুনঃ অর্থায়নের সুপারিশ।
[৭] আর্থিক সহায়তা কোমল ঋণ হিসেবে ৩ শতাংশ সুদে প্রদানযোগ্য হবে। মার্জিন একাউন্টে লোণের বিপরীতে আরোপিত সুদ এক বছরের জন্য স্থগিতকরণের সুপারিশ। এতে বিনিয়োগকারী ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে বাজারকে সক্রিয় করে তুলবে।
[৮] পুঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি কল্পে অপ্রদর্শিত আয় ১:১ ভিত্তিতে বন্ড মার্কেট ও সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করা হবে। বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থ তিন বছরের জন্য ব্লক থাকবে। বন্ড এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লেনদেনযোগ্য বিবেচনায় বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানের সুপারিশ। বাজার বিমুখ বিনিয়োগকারীদের বিভিন্নমুখী সেবা ও সুবিধা প্রদান করে বাজারমুখী করতে ব্রোকার কর্তৃক প্রদেয় বার্ষিক বিও ফি ও অন্যান্য সকল প্রকার চার্জ এক বছরের জন্য পূর্ণ মওকুফ করা। গ্রন্থনা : ফাতেমা আহমেদ